বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:০৪ অপরাহ্ন
বন্দর নগরী চট্টগ্রাম বহদ্দারহাটে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং আর টাকার বিনিময়ে অবৈধ সিএনজি-টেম্পো স্টেশনের কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগে থাকে। যানজটমুক্ত করতে সেসব অবৈধ স্টেশন উচ্ছেদ অভিযান শুরু করলেও কয়েক ঘন্টা যেতে না যেতে আবার সেই আগের মত। সিএনজি-টেম্পো স্টেশনের মত রাস্তা দখল করে আছে হকাররা। প্রকাশ্যে চলছে চাঁদাবাজি মহা উৎসব, বাড়ছে জনদুর্ভোগ, দেখার নেই কেহ! এই যেন “জোর যার মুলুক তার”।
মাসোহারা দিয়েই চলছে নগরীর বহদ্দারহাট প্রায় ১ হাজারও বেশি গ্রাম সি.এন.জি, টিকটিকি (বরতাকিয়া) ও ম্যাকজিমা। এই সব লাইনের ৯০ শতাংশ গাড়িরই কোন কাগজপত্র নেই। প্রতি মাসে প্রতিটি গাড়ি থেকে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা এবং প্রতিদিন প্রতি গাড়ি থেকে নেওয়া হয় ৩০ থেকে ৭০ টাকা। এই যেন চাঁদাবাজি মহা উৎসব চলছে বহদ্দারহাটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এর নেপথ্যে রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট, রাজনৈতিক নেতাকর্মী সহ পুলিশ কর্মকর্তা। এই সব নিয়ন্ত্রণ মালিক সমিতির সভাপতি মোজাহের ও শ্রমিক ইউনিয়ন ১৪৪১ এর সাধারণ সম্পাদক হারুন। অন্যদিকে মহানগরীতে অনুমোদনপ্রাপ্ত গাড়িগুলোও নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ মালিক সমিতির।
লাইনম্যানরা বলেন, এখানে ৯০ শতাংশ গাড়ির কোন কাগজ নেই, এখানে বৈধ থেকে অবৈধ গাড়ির সংখ্যা বেশি। সার্জেনকে দিতে হয় ৫০০ টাকা করে, তাহলে আর সমস্যা হয়না। কয়েকটা গাড়ি ধরলেও পরে ছেড়ে দেই। কাজ করলে, দৈনিক ৫০০ টাকা করে দেই আমাকে। বাকি সব মালিক সমিতির সভাপতি মোজাহের ও শ্রমিক ইউনিয়ন ১৪৪১ সাধারণ সম্পাদক হারুন দের দিতে হয়।
বহদ্দারহাট পুলিশ বক্সের টিআই উত্তম মুটোফোনে বলেন, আমরা প্রতিদিন অবৈধ গাড়ি ধরে মামলা দিচ্ছি টু করছি, রমজানে বহদ্দারহাট যানজটমুক্ত রাখতে কাজ করে যাচ্ছি। এতো বড় এরিয়াতে বহদ্দারহাটে সার্জেন একজন, তাই কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। মাঝে মাঝে থানার সাহায্য নিতে হয় আমাদের।
‘সার্জেনকে দিতে হয় ৫০০ টাকা দেওয়া নিয়ে’ টিআই উত্তম বলেন, লাইনম্যানরা অনেক কিছু বলবে, কিন্তু সঠিক নয়। আমাদের কেউ টাকা নেই না। আমাদেরকে সরকার বেতন দিচ্ছে, আমরা কেনো এই সব নিবো।
তিনি আরো বলেন, গাড়ি থেক চাঁদা তোলা সম্পূর্ণ অবৈধ। রাস্তায় সিএনজি-টেম্পো স্টেশন অবৈধ। এই সব উচ্ছেদের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি। রাস্তার উপর দোকান গুলো উচ্ছেদ করলেও কয়েক ঘন্টা পর আবার বসে যায়।