শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে নিন্দা জানিয়ে আনা এক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ।গত বুধবার এক ঐতিহাসিক ভোটে প্রস্তাবটির পক্ষে ১৪১ দেশ, বিপক্ষে রাশিয়াসহ পাঁচটি দেশ এবং ৩৫টি দেশ ভোট দানে বিরত থাকে।
এই প্রস্তাবে মস্কোকে যুদ্ধ থামাতে এবং ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব মেনে চলতে রাশিয়া আইনগতভাবে বাধ্য নয়। তবে বিশ্ব সংস্থায় কূটনৈতিকভাবে দেশটিকে আরও বেশি বিচ্ছিন্ন করে ফেলা এই প্রস্তাবের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য।
গত সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদে একই ধরনের একটি রেজুলেশনে ভেটো ক্ষমতার অধিকারি রাশিয়া বিপক্ষে ভোট দিলে প্রস্তাবটি নাকচ হয়ে যায়। পরবর্তীতে নিরাপত্তা পরিষদ থেকে এটি সাধারণ পরিষদে পাঠানো হয়।
গত ৪০ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো নিরাপত্তা পরিষদ থেকে আলোচনার জন্য একটি সমস্যা সাধারণ পরিষদে পাঠানো হয়। জাতিসংঘের ওয়েবসাইট বলছে, সর্বশেষ ১৯৮২ সালে নিরাপত্তা কাউন্সিল সাধারণ পরিষদের জরুরি অধিবেশন আহ্বান করে।
সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাবে রাশিয়ার ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের’ নিন্দা জানানো হয়। এর বিপক্ষে ভোট দেয় রাশিয়া, বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, উত্তর কোরিয়া এবং সিরিয়া। চীনসহ ৩৫টি সদস্য দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।
সাধারণ পরিষদের পাস হওয়া প্রস্তাব আইনগত ভাবে মানতে কেউ বাধ্য নয়, তবে এর রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। বুধবারের ভোটাভুটি ইউক্রেনের প্রতিকী বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। আর এতে মস্কোর আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা আরও বাড়বে। দেখা গেছে রাশিয়ার প্রথাগত মিত্র সার্বিয়াও তাদের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।
ভোটাভুটির পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতিসংঘের ১৪১টি সদস্য দেশ জানে, এটি ইউক্রেনের সংঘাতের চেয়েও বেশি কিছু। এটা ইউরোপের নিরাপত্তা এবং পুরো নিয়মভিত্তিক শৃঙ্খলার ওপর হুমকি।’
জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া ইউক্রেনে বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি অভিযোগ করেন প্রস্তাবটি পাস করাতে সাধারণ পরিষদের সদস্য দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করছে পশ্চিমারা। এই প্রস্তাব পাস হওয়ায় সহিংসতা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।