বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন
খায়রুল খন্দকার টাঙ্গাইল( ভূঞাপুর)প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক প্রতিবন্ধীর বাড়িতে অভিযানের নামে নগদ টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) এর কয়েকজন সদস্যদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার(৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বাহাদিপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী মালেকের বাড়িতে অভিযান চালায় জেলা ডিএনসির এস আই সিরাজুল ইসলাম ও এএসআই শামীম আল আজাদ সঙ্গীয় সদস্যরা।
সরেজমিনে জানা যায়, মালেকের বাড়িতে মাদক আছে এমন সন্দেহে অভিযান চালায় টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর এসআই সিরাজুল ইসলাম ও এএসআই শামীম আল আজাদ সঙ্গীয় ডিএনসি সদস্যরা। প্রায় ঘন্টা খানেক তল্লাশি চালিয়ে কোন মাদকদ্রব্য না পেলেও ঘরে থাকা ১টি ট্রাঙ্ক (লকার) এর তালা ভেঙে নগদ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে যায় ডিএনসি সদস্যরা। আবার যাওয়ার সময় ভুক্তভোগী পরিবারের নিকট থেকে জোরপূর্বক ভিডিও বক্তব্য নিয়ে যায় তারা।
প্রতিবন্ধীর ছোট ভাই শিক্ষার্থী মামুন জানায়, মাদক খোঁজার নামে তল্লাশি চালিয়ে আমার পড়ার টেবিলের বই খাতা ফেলে দিয়েছে। সবার থাকার ঘর উলট-পালট করে দিয়ে গেছে। আমাকে দিয়ে জোর করে ট্রাঙ্ক/লকার ভাঙিয়েছে এবং সেখান থেকে আমার মায়ের গচ্ছিত ৪০ হাজার টাকা লুট করে নিয়েছে। যাওয়ার সময় ডিএনসির সদস্যরা জোর করে আমার ভিডিও বক্তব্য নিয়েছে।
প্রতিবন্ধী মালেক জানায়, আমার মায়ের ৫টি ছাগল ও কিছু ধান বিক্রির প্রায় ৪০ হাজার টাকা তারা লুট করে নিয়ে যায়। আমি ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই আমার মায়ের কষ্টের অর্জিত টাকা যেন ফেরত পায়। দরকার হলে আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব।
অভিযুক্ত ডিএনসির এএসআই শামীম আল আজাদের সাথে মুঠোফোনে টাকা লুটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যাঁ অভিযান চালিয়েছি, কোন মাদক পাইনি তাই প্রতিবন্ধীকে ছেড়ে দিয়েছি। টাকা লুটের কোন ঘটনা ঘটেনি। আপনি সিরাজুল স্যারের সঙ্গে কথা বলুন।
পরে আরেক অভিযুক্ত ডিএনসির এসআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, অভিযান চালিয়ে কোন প্রকার মাদকদ্রব্য না পেয়ে আমরা চলে এসেছি। সেখান থেকে কোন প্রকার টাকা পয়সা নেওয়ার ঘটনা ঘটে নি।
এ বিষয়ে ডিএনসির টাঙ্গাইল জেলা উপ-পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, টাকা লুটের ঘটনার বিষয়ে জানা নেই। তবে এর আগেও এই অফিসারদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ রয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।