রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন বিশেষ প্রতিনিধি:
পরে বাজার থেকে উধাও হওয়ার কারণ জানা গেলো মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা। কিন্তু সে ঘোষণা আসার পর থেকেও স্বাভাবিক হয়নি সয়াবিন তেল। ক্রেতারা দোকান থেকে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। কারণ হিসাবে দোকানিরাও কিছু বলতে পারছেন না। তবে বাজারে অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ কমেছে সব ধরনের মৌসুমি শাক-সবজির দাম।
আজ শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম’ নগরীর-রিয়াজউদ্দিন বাজার, কর্ণফুলী মার্কেট, মোগলতলী বাজার, বদ্দারহাট বাজারে, এ চিত্র দেখা গেছে। বাড়তি দাম যোগ করে বাজারে এখন প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৭৫ টাকা।
আর খোলা সয়াবিনের দাম ১৫৭ টাকা। তবে, নতুন এ দামের তেল এখনো আসেনি। সরবরাহ সংকটের কারণে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। নতুন করে দাম বাড়ার আগে বোতলজাত সয়াবিন প্রতি লিটার ১৬৭ টাকা ও খোলা সয়াবিনের লিটার ছিল ১৪৯ টাকা।
আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ক্ষিরাই ৫০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
এ ছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ৩০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৫০ টাকা, নতুন আলু ৭০ টাকা ও পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা ও লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৯০ টাকায়, আর পাইকারিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
এছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পাটশাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়।পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা।
দেশি হাইব্রিড পেঁয়াজের কেজিতে ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা আর আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে।
মাছের বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ এক হাজার ৩০০ টাকা থেকে এক হাজার ৭০০ টাকা, শিং এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা ও নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। মসলার বাজারে দেখা গেছে, আমদানি কমের অজুহাতে ফের বাড়তে শুরু করেছে এলাচের দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ৮০০ টাকায়।
এছাড়া বাজারে দারচিনি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, জিরা ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, সাদা গোলমরিচ এক হাজার ৪০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা, লবঙ্গ এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৬৫০ টাকা ও তেজপাতা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে দেখা গেছে, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায় প্রতি কেজি, খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়।
দেশি মুরগি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায় এবং প্রতি কেজি সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়।