বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৮ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।

নিয়ন্ত্রণহীন বাজার, চরম অস্বস্তিতে ক্রেতারা, গ্রাম ওজনে সবজি কিনেছেন ক্রেতারা:

মোঃ সেলিম উদ্দিন খান চট্টগ্রাম  প্রতিনিধি:

চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন বাজারে! নিয়ন্ত্রণহীন বাজার চরম অস্বস্তিতে ক্রেতারা গ্রাম ওজনে সবজি কিনেছেন ক্রেতারা। চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার, এনায়েত বাজার, কর্ণফুলী মার্কেট, বদ্দারহাট,বাজারে পেঁপে ছাড়া বাজারে প্রচলিত সবধরনের সবজির দামই অস্বাভাবিক বেড়েছে। ১০০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। এর মধ্যে লাগামছাড়া দামে শিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়, টমেটো ২৮০ ও বেগুন জাত ভেদে ১৬০-১৯০ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা। এমন অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। তাই বাধ্য হয়ে অনেকেই সবজি কেনার ক্ষেত্রে কেজি থেকে নেমেছেন গ্রামে। ২৫০ বা ৫০০ গ্রাম ওজনে সবজি কিনছেন বেশিরভাগ ক্রেতা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাস পরও ভোগ্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি এলো না। বরং অস্বস্তি আরো কয়েক গুণ বেড়েছে। বিগত সরকারের সময় সিন্ডিকেটের অভিযোগ ছিল। যার কারণে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। দেশের সাধারণ মানুষ কষ্টে ছিলেন। যার ক্ষোভ গণআন্দোলনের সময় দেখা গেছে।মানুষ এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে প্রতীক্ষায় ছিল। মানুষের ধারণা ছিল নতুন সরকার এলে তাদের স্বস্তি হবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে। কিন্তু বর্তমান সরকারের দুই মাসে দাম তো কমেনি বরং জ্যামিতিক হারে বেড়েই চলছে। ফলে এখন আর কোনো পণ্যই সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নেই। গরিব ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ মাছ-মাংস কেনার সামর্থ্য আগেই হারিয়েছে। তারা এখন ভাত ও সবজির উপর নির্ভরশীল।কিন্তু কয়েক দিনের ব্যবধানে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে চার-পাঁচ টাকা। সবজির দাম এতোটাই বেড়েছে যে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। সবজির কেজি কোনটিই একশ টাকার নিচে নেই। কিছু সবজির কেজি দেড়শ থেকে দুইশ টাকা। কাঁচা মরিচ সাড়ে তিনশ থেকে চারশ টাকা। প্রতিযোগিতা দিয়ে বাড়ছে ডিম, মুরগি ও মাছের দাম। গরু-খাসির মাংস আগে থেকেই উচ্চমূল্যে অবস্থান করছে। আলু, আদা, রসুন, পেঁয়াজও নাগালের মধ্যে নেই। ডিমের দাম বাড়তে বাড়তে এখন প্রতি পিস হয়েছে ১৫ টাকা। সব মিলে নিত্যপণ্যের বাজার ক্রেতার কাছে এখনও দুর্বিষহ। সরকারের সঠিক নজরদারির অভাবে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যনতুন অজুহাতে দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। কোনো কোনো সময় কৃত্রিম সংকট তৈরি করেও পণ্যের দাম বাড়ানো হয়। সিন্ডিকেট চক্রই মূলত বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীই বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। কখন দাম বাড়বে, কখন কমবে সেটা তারাই নির্ধারণ করে। সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। জনগণের অনেক প্রত্যাশা ছিল নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসবে। জনগণ আশা করেছিল সিন্ডিকেট ভেঙে যাবে, জনগণ ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে পারবে। বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর কাজ করলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। বরং সরকারের মনিটরিংয়ের অভাবে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।

সমন্বয়হীনতার কারণে কোনো জবাবদিহিতা নেই। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং দরকার। তা না হলে কোনোভাবেই দাম নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।ভোক্তার অস্বস্তি দিনদিন বেড়েই চলছে। বাজার কোনোভাবেই সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে থাকছে না।

মুদ্রাস্ফীতির কারণে নিম্ন থেকে মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ প্রচন্ড চাপের মধ্যে আছে। যার কারণে মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com