বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন
মোঃ সেলিম উদ্দিন খান (বিশেষ প্রতিনিধি)
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা নেজামুদ্দিন নদভীর শ্যালক , ওজামাত নেতা মমিনুল হক ছেলে সাতকানিয়ায় চরতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুহুল্লাহ চৌধুরীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চরতী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। আহত রুহুল্লাহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
চরতী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ্ চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিন কে খবর কে বলেন, আমি পরিষদে বসে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছিলাম। সেসময় দেলোয়ার ও নাছিরের নেতৃত্বে আমার কার্যালয়ে ঢুকে আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করেছে।
তাদের সাথে কোন বিরোধ ছিল না আমার, শুধুমাত্র দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় আমার উপর এই নিয়ে দুইবার হামলা করা হয়েছে।
দেলোয়ার আমাকে কখনো কোন ধরনের টাকা দেয় নাই, তারা ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে টাকা পাওয়ার বিষয় সাজাচ্ছে। আমি মামলা দায়ের করবো এবং প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চাইবো।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত দেলোয়ার হো বলেন, সরকারি ঘর দিবে বলে আমার কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছিল চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ। অনেকদিন ধরে আমাকে ঘর বুঝিয়ে দিবে বলে অনেকদিন ধরে ঘোরাচ্ছে।
ঘর না দেওয়ায় ঘরের জন্য আমার কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি প্রথমে চেয়ার দিয়ে মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং কিল ঘুষি মেরে আমাকে আহত করে।
স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমি বা আমরা কেউ চেয়ারম্যান রুহুল্লাহর উপর হামলা করি নাই।
জানতে চাইলে সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউল হক বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর কে বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। সেখানে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরী দেলোয়ার নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ঘর দেওয়ার নামে টাকা নেয়।
দেলোয়ার ইউপি কার্যালয়ে রুহুল্লাহ চৌধুরীর কাছে টাকা চাইতে গেলে বাগবিতণ্ডা হলে রুহুল্লাহ চৌধুরী দেলোয়ারকে মারধর করে, মার খেয়ে দেলোয়ার মানুষজনকে খবর দিলে পরবর্তীতে ২০-৩০ জন এসে রুহুল্লাহ চৌধুরীর উপর হামলা করে। এতে রুহুল্লাহ চৌধুরী আহত হয় পরবর্তীতে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সাতকানিয়া সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর কে বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ওসি তদন্ত আতাউল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ অভিযোগ বা মামলা দায়ের করেনি। তদন্ত পূর্বক যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে