মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন
এস আর,সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল নির্বাচিত হয়েছেন। কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি পেয়েছেন ৫৯৮ ভোট।মীর ইকবালের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) আখতারুজ্জামান আখতার পেয়েছেন ৫৬৬ ভোট। ৩২ ভোটের ব্যবধানে মীর ইকবাল বেসরকারিভাবে রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ (১৭ অক্টোবর) সোমবার বিকেল ৪টার দিকে রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এই ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি জানান ভোট কাস্টিংয়ের হার ৯৯ শতাংশ।
রাজশাহীতে ভোটার সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১৮৫ জন। ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ১ হাজার ১৭৫ জন ভোটার। মোট ১০ জন ভোট দেননি। এই ভোটারের মধ্যে চারজন কারাগারে এবং মারা গেছেন একজন। আর পাঁচজন ভোট দেননি। এছাড়া অপর দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে আক্তারুজ্জামান আনারস প্রতীক নিয়ে চার ভোট পেয়েছেন। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল তালগাছ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাত ভোট পেয়েছেন।এছাড়া রাজশাহী জেলা পরিষদের ৯টি সাধরণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৩০ জন প্রার্থী। আর সংরক্ষিত আসনের ৩ জনের বিপরীতে ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এর আগে আজ (১৭ অক্টোবর) সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত রাজশাহীর নয় উপজেলায় ১৮টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহীতে সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলে। বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া ভোটগ্রহণ চলাকালে রাজশাহীর কোথাও কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
তবে সার্ভারের সমস্যায় সকালে প্রায় কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ শুরু করতে ১০/১৫ মিনিট দেরি হয়। যদিও দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে হামলা, অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের কারণে এই নির্বাচনের শুরু থেকেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছিল। তবে সকাল থেকেই ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। বেলা গড়ার সাথে সাথে উপস্থিতি বাড়তে দেখা যায়।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় রাজশাহী জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, সবগুলো কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়েই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছিল এবং সময়মতো শেষ হয়েছে। সকাল থেকেই সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি রাজশাহীর জন্য একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।