সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ অপরাহ্ন
দেশে শক্তিশালী অটোমোবাইলের উন্নয়নে খাতভিত্তিক নীতিসহযোগিতা চান উদ্যোক্তারা। তবে পর্যাপ্ত নীতিমালার অভাবে এগুলো তৈরি করা যাচ্ছে না। এসব কাজের ৯৯ শতাংশই করছেন বিদেশি ভেন্ডররা। দেশীয় ভেন্ডর উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্যক্রম নেই।
অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড অ্যাসেম্বলার্স সম্পর্কিত এফবিসিসিআইয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম বৈঠকে এ দাবি জানান তারা।গতকাল (২ ফেব্রুয়ারি) বুধবা রএফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
বৈঠকে এফবসিসিআই সভাপতি বলেন, একসময় আমাদের দেশ ছিল শুধু আমদানি নির্ভর। বর্তমান দেশের সক্ষমতা বেড়েছে কয়েকগুণ। প্রয়োজনীয় অনেক পণ্য এখন তৈরি হচ্ছে, দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন রপ্তানিও হচ্ছে। পর্যাপ্ত ব্র্যান্ডিংয়ের অভাবে বিশ্বের অনেক দেশ এখনো বাংলাদেশের সক্ষমতা সম্পর্কে জানে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন অনেক পণ্যই তৈরি হচ্ছে যেগুলো আগে ছিল শুধুই আমদানি নির্ভর। অটোমোবাইল একটি বড় সম্ভাবনাময় খাত। মোটরসাইকেলসহ এ খাতের অনেক পণ্য এখন দেশে তৈরি হচ্ছে, পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশের এ সক্ষমতা ব্র্যান্ডিং করা হলে রপ্তানি ও বিনিয়োগ বাড়বে। বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ ও এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি হাবিব উল্লাহ্ ডন বলেন, নীতিমালা সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানের পাশাপাশি পণ্যের গুণগতমান নিশ্চিত করে দেশে প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করতে হবে।
অটোমোবাইল খাতকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় সভা সেমিনার আয়োজন করার কথা জানান তিনি।অটোমোবাইলসহ খাতভিক্তিক উন্নয়নে কাজ করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান সভার সভাপতি ও স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান।
কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও উত্তরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান অভিযোগ করেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই নীতিমালা প্রণয়নের ফলে অটোমোবাইল খাতের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।