বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর
- রবিবার ১৪ আগস্ট, ২০২২ / ১১০ জন দেখেছে
অভিভূত রক্ত যায় ঝরে, বাঙালির কলমের নিবের ভিতরে স্তব্ধ নয় ইতিহাস! বাংলাও সুদূরগামী,
তেরশত নদীর ওপরে ওই আজও তো নৌকোয় রক্তমাখা জনকের উত্থান বিস্ময়!
বাঙালির স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সামরিক বাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট। তাই এ দিনটিকে জাতীয় শােক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে দুষ্কৃতকারী কিছু সংখ্যক সামরিক অফিসার, ক্ষমতালােভী দেশবিরােধীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে সূচনা করে কালাে অধ্যায়ের। তাঁকে হত্যার মাধ্যমে শুধু ব্যক্তিকে নয় বরং একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত রাজাকার, আলবদর, পরাজিত পাকিস্তান এবং সাম্রাজ্যবাদের নীল নকশায় এই জঘন্যতম নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। এর মাধ্যমে তারা মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রবিরােধী রাষ্ট্র কায়েম করার চেষ্টা করে । সময়টি ছিল জাতির জন্য এক বিষাদময় অধ্যায়। শুধু হত্যা করেই তারা শান্ত থাকেনি রং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ওই কালাে আইন বাতিল করে বিচারের পথ খুলে দেয়। তৎকালীন সরকার ১৫ই আগস্টকে জাতীয় শােক দিবস হিসেবে ঘােষণা দেয়। এরপর থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে দিনটি।
এরই ধারাবাহিকতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস২০২২ উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের যে সকল সদস্য ১৫ আগস্ট এর ঘাতকের নির্মম বুলেটে নিহত হয়েছেন তাদের সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন দক্ষিণ টাঙ্গাইলের গর্ব, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির বিপ্লবী সংগ্রামী সদস্য, নাগরপুর দেলদুয়ারের গণমানুষের নেতা, স্বাধীনতা পরবর্তী নাগরপুর দেলদুয়ারের মানুষের প্রাণের দাবি ধলেশ্বরী সেতু বাস্তবায়ন কমিটির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক, ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী গণ আন্দোলনের অগ্রসৈনিক, রাজপথ কাঁপানো সাবেক তুখোর ছাত্রনেতা, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগ ও নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য, নাগরপুর দেলদুয়ারের কর্মীবান্ধব রাজনীতির রূপকার জননেতা তারেক শামস খান হিমু।
বঙ্গবন্ধুর ৪৭ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষে জননেতা তারেক শামস খান হিমু এর সাথে গণমাধ্যমের কথা হয়।তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এক অবিসংবাদি নেতা। মহান রাব্বুল আলামিন যুগে যুগে কিছু মহাপুরুষ পৃথিবীতে আগমন ঘটান যার মাধ্যমে একটি জাতি, দেশ তথা সমগ্র বিশ্বে কল্যাণ সাধিত হয়।
এর মধ্যে আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত এক মহাপুরুষ। তিনি যদি আন্দোলন সংগ্রামের ডাক না দিতেন, তাঁর জীবনের আশা আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ না করতেন তাহলে আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা কখনোই পেতাম না। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য ও রাজনৈতিক কুচক্রে ঘাতকের নির্মম বুলেট এ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তাঁর পরিবারের সকল সদস্য নির্মমভাবে নিহত হন। আমি এর তীব্র নিন্দা এবং গভীর শোক প্রকাশ করছি। যদিও পরবর্তীতে বাংলার মাটিতে এই ঘাতকদের বিচার হয়েছে যার ফলে জাতির কিছুটা হলেও কলঙ্ক মুক্ত হয়েছে।
আমি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের নিহত সকল সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা ও মাগফেরাত কামনা করছি। সেই সাথে আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।