শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
গভীর রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ ইঞ্জিন থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৩৭ জন নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, নিখোঁজ প্রায় ১০০জন।
নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত ও দগ্ধ অবস্থায় অন্তত ৭২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল (২৩ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে লঞ্চটিতে আগুন লাগে বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল।
ঝালকাঠির গাবখানের কাছাকাছি সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় গতকাল (২৩ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার রাত ৩টার পর লঞ্চে আগুন ধরে যায়।
পরে ঝালকাঠি সদর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের দিয়াকুল এলাকায় নদীর তীরে লঞ্চটি ভেড়ানো হয়। ।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলে এলে লঞ্চ থেকে কিছু যাত্রী নামতে পেরেছেন।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান জানান, লঞ্চে পাঁচ শতাধিক যাত্রী থাকলেও আগুনে ৭০-৮০ জন দগ্ধ হয়েছেন।
দগ্ধ বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এর সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেননি তিনি।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, গতকাল (২৩ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি সদরের ধানসিড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলে এমভি অভিযানের ইঞ্জিন রুমে আগুন লাগে।
দ্রুত তা পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়লে প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই নদীতে ঝাপ দেন। লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল।
এক প্রত্যক্ষ্যদর্শী জানান, লঞ্চে শিশু, বুড়ো, নারীসহ ৫শ’র বেশি যাত্রী ছিলেন। খবর পাওয়ার পরপরই উদ্ধার কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা।
তবে, কুয়াশার কারণে উদ্ধার কাজে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। এদিকে আহত ৭০ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।