বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:১৫ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজার জেলা লেবু ও আনারস চাষাবাদের জন্য প্রশিদ্ধ এলাকা। এ অঞ্চলে জারা লেবু, কাগজি লেবু, সুগন্ধি চায়না লেবুর ফলন হয় ভালো।জেলার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলায় পাহাড়ী ও টিলায় উর্বর মাটিতে লেবুর ফলন হয় বেশি। এতো ফরনের পরও রোজা মাসে বাজারে লেবুর দাম বেড়ে হয় দিগুণ। চাষি ও লেবু ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজান মাসে লেবুর চাহিদা বেশি হওয়ায় ও তীব্র খরায় ফলনে খরচ বেশি পড়ায় বেড়েছে লেবুর দাম।
খোঁ
জ নিয়ে জানা যায়, রোজা মাসে লেবুর চাহিদা বেড়ে বাড়ায়, বেশি দামে বিক্রির জন্য লেবু চাষীরা মাস খানেক আগ থেকে গাছ থেকে লেবু পাড়া বন্ধ করে দেন।গাছে স্টক করা সেই লেবু রোজার আগের দিন থেকে গাছ থেকে পেড়ে বাজারে তোলা হয়।তখন আর আগের দাম থাকে না। দাম বেড়ে হয় দ্বিগুন। এবারও তেমনটিই হয়। রোজার আগে যে লেবু ১০ টাকা হালি দরে বিক্রি হতো সেই লেবু রোজা শুরুতেই দাম বেড়ে প্রতি হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
রমজান আসতেই লেবুর দাম দ্বিগুন হয় কেনো জানতে চাইলে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পাচাউন গ্রামের লেবু চাষি যুবলীগ নেতা সাইদ আলী জানান, বছরের এ সময়ে অনাবৃষ্টিতে লেবু গাছে পানি ও সার দিতে খরচ হয় দ্বিগুন। বাগানে কামলার রোজও বেশি দিতে হয় তাই বাজারে লেবুর দাম কিছুটা বেশি।
লেবু চাষি আনোয়ার হোসেন জানান, ফাগুন ও চৈত্র মাসে তীব্র খরায় যে অনুপাতে খরচ তাতে লেবুর দাম তেমন বেমি নয়। তিনি আরও বাগান থেকে সরাসরি মার আড়তে চলে যায়, সেখানে যে দর পাই তার তুলনায় বাজারে লেবুর দর তিনগুন বেশি বলে তিনি জানান।
মৌলভীবাজার কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী জানান, মৌলভীবাজার জেলায় এ বছর ১ হাজার ৭শ’ ০২ হেক্টর জমিতে কাগজি লেবুর চাষ হচ্ছে। গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ২৭ হাজার ২০০, ৩২ মেট্রিক টন লেবু।