শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা সংঘটনকারী তৎকালীন সামরিক জান্তাদের কোনো বিচার করেনি পাকিস্তান, এটা দেশটির জন্য একটি লজ্জাজনক ব্যাপার।
আজ (২৫ মার্চ) শুক্রবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ‘বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে গণহত্যা’ শীর্ষক এক সেমিনারে যোগদান শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পাকিস্তানের উচিৎ ছিল তাদের (গণহত্যাকারীদের) বিচার করা।
এসময় মন্ত্রী পাকিস্তানের পরবর্তী প্রজন্ম একাত্তরের অপরাধ স্বীকার করবে এবং বাংলাদেশে গণহত্যাকারীদের বিচার করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়েছে। শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যই যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল করা সম্ভব হয়েছে, অন্যথায় আমরা এটা করতে পারতাম না। বাংলাদেশের কোনো কোনো মহলের কারণে গণহত্যার বিষয়টি বহু বছর ধরে চাপা পড়েছিল।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার বিচারের বিষয়টি তুলে আনা হয়েছে। ২৫ মার্চকে ‘বাংলাদেশের গণহত্যা দিবস’ হিসেবে বৈশ্বিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য ঢাকা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
‘বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্মরণ করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। যা শুধু দেশের জন্য গৌরবময় নয়, মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের সূচনার দিনটিকে চিহ্নিত করে। এ দিনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং তাদের দোসররা বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম গণহত্যার সূচনা করেছিল’- বলেন তিনি।
সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অপারেশন সার্চলাইট’ এবং পুরো যুদ্ধকালীন হত্যার ধরনটির স্পষ্ট উদ্দেশ্য ছিল, সমাজের নির্দিষ্ট কিছু অংশকে বিশেষ করে ধর্ম, জাতি ও রাজনৈতিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে চিহ্নিত ব্যক্তিদের নির্মূল করা।
সেমিনারে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বক্তব্য রাখেন। এতে জেনোসাইড ওয়াচের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক গ্রেগরি স্ট্যান্টন এবং প্রখ্যাত গণহত্যা বিশেষজ্ঞ ড. হেলেন জার্ভিস পৃথক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।