রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২০ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সবিরুল খান বর্তমানে সিআইডি হেডকোয়াটারে কর্মরত রয়েছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি চট্টগ্রামে কর্মরত থাকাকালীন সময় নগর গোয়েন্দা বিভাগের প্রভাব ও ক্ষমতা ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের নিকট থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করে আসছেন ।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এএসআই সবিরুল খান নিজেকে গোয়েন্দা সংস্থার উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি ও হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্থ দাবি করে আসছেন। বিশেষ করে মাদক, জুয়া, আবাসিক হোটেল, মোবিল, তেলের দোকান, সমুদ্রের ঘাট ও লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তিনি এই চাঁদাবাজি করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে এবং তার তিন জন সহকারী ও আছে তাদের নাম ফরিদ, মাসুম, সেলিম।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ এর বিশস্ত মানুষ ছিলেন এবং সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিবের দাপট দেখাতেন তিনি। তিনি আওয়ামী আমল থেকে এখন পর্যন্ত অপশক্তি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি ও নির্যাতন করে আসছেন। তার সাথে কোনো পুলিশ সদস্যের বনাবনি না হলে তিনি ওই পুলিশ সদস্যকে অপশক্তির ক্ষমতা ব্যবহার করে তাকে বদলি করে দিতেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, একাধিক ভুক্তভোগী এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন থাকলেও অভিযুক্ত কর্মকর্তা ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম থেকে বদলি হয়ে নারায়ণগঞ্জ এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে বর্তমানে সিআইডি হেডকোয়াটারে কর্মরত রয়েছেন ।
তিনি বদলি হওয়ার পরও এখনো সিএমপির বিভিন্ন থানার সোর্সদের মাধ্যমে ডিবি পুলিশের নামে চাঁদা নেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সিএমপির চকবাজার থানা , সদরঘাট থানার ক্যাসিয়ার মিন্টু সহ আরও অনেকেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী বলেন, “তিনি (সবিরুল) পরিচয়পত্র দেখিয়ে বলেছিলেন, ডিবি থেকে এসেছেন। তারপর বলেন, ব্যবস্থা নেবেন যদি টাকা না দেই। তখন ভয় পেয়ে নিরুপায় হয়ে তাকে টাকা দেই।”
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। যদি কোনো পুলিশ সদস্য চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এ ধরনের অভিযোগ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট করছে বলেও মত প্রকাশ করেছেন সুশীল সমাজের নেতারা। তারা মনে করেন, দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।