শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০০ পূর্বাহ্ন
মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন বিশেষ প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সবজি চাষিরা ফলন আহরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলার ১৭ ইউনিয়নের পাহাড়ি ও উচ্চ সমতল ভূমিতে আগাম সবজি চাষিরা গোল আলু, মুলা, বেগুন, শিম, বরবটি, মরিচ, লাউ, শশা ইত্যাদি চাষ করে ভালো ফলনের আশায় কাজ করে যাচ্ছেন।
সরজমিনে উপজেলার শস্য ভাণ্ডার খ্যাত খাগরিয়া ইউনিয়নের বিল, দ্বীপ চরতী, চরতী, মাদ্রাসা এলাকা, বাজালিয়ার বিল, সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ভরিয়ারকুল বিল, হাতিয়ারকুল এলাকার বিল, জমাদার পাড়ার বিল, আছারতলি, সাইরতলি বিল ও কালামিয়া পাড়ার পশ্চিমের পাহাড়ের গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ের পাদদেশে শীতকালীন সবজি গোল আলুর চাষ। কিছু পরিপক্ব আবার কিছু এখনো অপরিপক্ব ক্ষেত। যারা আগাম গোলা আলু চাষ করছেন তাদের ফলন যথেষ্ট হয়েছে।
আগাম যারা চাষ করেছেন তারা এখন ক্ষেত থেকে গোল আলু তুলছেন। অপরদিকে গোল আলু চাষি যাদের ক্ষেতে পাতা মোড়ানো রোগ দেখা দিয়েছে তাদের ঘুম নেই চোখে। হাতিয়ারকুল এলাকার আগাম গোল আলু চাষি সখিনা খাতুন জানান, তিনি ৩০ শতক জমিতে দেশি জাতের গোল আলু চাষ করছেন।
১০ দিন আগে থেকে গোল আলু ক্ষেত থেকে তুলে বাজারে বিক্রি করেছেন। এ ক্ষেত করতে তার শ্রমসহ মোট খরচ হয়েছে ৬৫০০ টাকা। এ পর্যন্ত তিনি ৯০০০ টাকার গোল আলু বিক্রি করেছেন। ক্ষেতের সমস্ত গোল আলু বিক্রি করতে পারলে আনুমানিক ৬০০০ টাকা আয় হবে বলে সবজি চাষি আবুল জানান। সরকারিভাবে তিনি কৃষি ঋণ পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এখনো পর্যন্ত কোনো প্রকার সরকারি ঋণ পাননি।
ইউনিয়নে সাইরতলি এলাকার , আবদুল কাদেরও লাভের আশা করছেন। সাতকানিয়া কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর সবজি গোল আলুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২০০ হেক্টর। তার মধ্যে দেশীয় ১০৫৫ হেক্টর ও উফশী ৫৪ হেক্টর।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, আগাম যারা গোল আলু চাষ করেছেন তাদের ফলন ভাল হয়েছে। ক্ষেতের রোগ বালাইয়ের ব্যাপারে আমাদের নিকট যারা আসেন তাদেরকে সাধ্যমত পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করে থাকি। যেসব গোল আলু চাষি প্রতিবছর একই জমিতে একই জাতের আলু রোপণ করেছেন তাদের ক্ষেতেই রোগবালাই বেশি।