সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৯ অপরাহ্ন
মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন বিশেষ প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী তিন বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে।একই দিনে পটিয়ায় বেপরোয়া ট্রাকের চাপায় প্রাণ হারায় ১২ বছরের শিশু।
এর আগে জানুয়ারির শুরুতে উখিয়া, খাগড়াছড়ি ও সাতকানিয়ায় পৃথক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী চারজন মারা যান। গত এক মাসে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পার্বত্য অঞ্চলে অন্তত ১০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ জন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। চট্টগ্রাম অঞ্চলে মহাসড়কে বেপরোয়া বাস ও দ্রুতগতির ট্রাকের কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।
চালকদের অদক্ষতা, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন, এবং দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বেসরকারি সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালে চট্টগ্রামে ১ হাজার ২৯৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৪১৩ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার সবচেয়ে বেশি। গত বছর মোট ২ হাজার ৭৬১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৬০৯ জন নিহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, “চট্টগ্রামের সড়কগুলো অপ্রশস্ত, চালকদের দক্ষতার অভাব, এবং বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে। দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ, ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ এবং স্বল্পগতির যানবাহনের জন্য আলাদা রাস্তা তৈরি করতে হবে।”
হাইওয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, হেলমেট ব্যবহার না করা, বেপরোয়া গতি, এবং নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো দুর্ঘটনার মূল কারণ। আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করা গেলে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমানো সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।