রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন
মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন বিশেষ প্রতিনিধি:
জীবিত স্বামী আল আমিনকে মৃত দেখিয়ে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছিলেন স্ত্রী কুলসুম বেগম। তদন্তে সন্দেহ হলে আটকের পর আদালতে হাজির করা হয় স্ত্রীকে।
পরে স্বেচ্ছায় দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি বলেন, স্বামী জীবিত। পরে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার থেকে তাকে আটক করা হয়। শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর রকিবুল হোসেন কুলসুম বেগমকে আদালতে হাজির করেন।
তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হলে তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল মামুন জবানবন্দি রেকর্ড করে কুলসুমকে কারাগারে পাঠান।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে বলা হয়, মামলার ডিজিস্ট আল-আমিন মিয়া গত পাঁচ আগস্ট বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এজাহারনামীয় আসামিদের গুলিতে আহত হয়ে মারা যান, এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে কুলসুম আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি আশুলিয়া থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। তদন্তকালে জানা যায়, ডিজিস্ট আল-আমিন জীবিত আছেন।
গত ২৪ অক্টোবর কুলসুম বেগম তার জীবিত স্বামী আল আমিনকে হত্যার অভিযোগ এনে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে এটি আট নভেম্বর ঢাকার আশুলিয়া থানায় এজাহারভুক্ত হয়।
এসব তথ্য সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানা থেকে আল আমিনকে জীবিত উদ্ধার করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত পাঁচ আগস্ট আশুলিয়ায় নিহত একজনকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়। সেই লাশ নিজের স্বামীর দাবি করে মামলা করেন কুলসুম।
পরে ১৩ নভেম্বর আল-আমিন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় গিয়ে নিজের জীবিত থাকার বিষয়টি পুলিশকে জানান। এরপর থেকে কুলসুমের খোঁজ শুরু কের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তবে কুলসুম কেন এই মিথ্যা মামলাটি করেছিলেন তা এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।