সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৬ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
চেয়ারম্যান: মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
৫নং চরজুবিলী ইউনিয়ন যুবদলের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নওগাঁর নিয়ামতপুর বালাহৈর গ্রামের বিকলঙ্গ সুলতানা ইয়াসমিন ভিক্ষা করে সংসার চালায় রূপগঞ্জের কাঞ্চন সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবীতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ  সড়ক অবরোধ চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ৬ বছরের কণ্যা শিশু ধর্ষণ পুলিশের অভিযানে গাজীপুর থেকে চুরি হওয়া ১০,০৯০ পিস টি-শার্ট চট্টগ্রামে উদ্ধার কম্বাইন্ড হিউম্যান রাইটস ওয়ার্ল্ড এর উদ্যোগে পাঞ ঞা জ্যোতি ভিক্ষু সংবর্ধিত  সিএমপি কমিশনারের প্রথম ‘ওপেন হাউজ ডে’-তে সেবা নিলেন ৮৪ জন সেবাপ্রত্যাশী আজ দেশে ফিরছেন লিবিয়ায় ‘বিপদগ্রস্ত’ ১৫৪ জন অভিবাসী পানছড়ির দূর্গম কচুছড়িতে ৩ বিজিবি’র বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা নওগাঁর মান্দায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

নওগাঁর নিয়ামতপুর বালাহৈর গ্রামের বিকলঙ্গ সুলতানা ইয়াসমিন ভিক্ষা করে সংসার চালায়

উজ্জ্বল কুমার সরকার (নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি)

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালাহৈর গ্রামে সুলতানা ইয়াসমিন(৪৫) ভিক্ষা করে চলে সংসার, যাত্রীছাউনিতে থাকেন মা-মেয়ে। একসময় ছিল সোনার সংসার। স্বামী ও এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে সুখেই দিন কাটছিল সুলতানা ইয়াসমিন দম্পতির।

হঠাৎ অজানা রোগে সুলতানা ইয়াসমিন শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েন। ছাড়তে হয় স্বামীর সুখের সংসার। সুলতানা ইয়াসমিন বিকলাঙ্গ হওয়ায় সৎমা তাদের বাড়িতে জায়গা দেয়নি। এরপর থেকেই নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। বাধ্য হয়ে যাত্রীছাউনিতে থাকছেন তারা।

মা ও মেয়ে রাস্তাঘাটে, হাটবাজারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল টাকাপয়সা তুলে সংসার চালান। সুলতানা ইয়াসমিনের (৪৫) বাড়ি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালাহৈর গ্রামে। তার মেয়ে তানজিলা খাতুন (১৬) বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী।

সুলতানা ইয়াসমিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার সোনাইচন্ডী গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে এবং উপজেলা বালাহৈর গ্রামের তাইজুল ইসলামের স্ত্রী।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে নিয়ামতপুর সদর বাস টার্মিনালের যাত্রী ছাউনিতে গিয়ে প্রতিবন্ধী মা ও মেয়ের দেখা মেলে। যাত্রীছাউনিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে জামাকাপড়। সেখানেই এখন তাদের বসতঘর। অসহ্য ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন মা। নেই ওষুধ কেনার টাকা। চাল না থাকায় রান্না হয়নি সকালে। ১৬ বছর বয়সী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে তানজিলা খাতুন বেরিয়েছেন ভিক্ষা করতে। দুপুরে ফিরলে তবেই খাওয়া হবে।

তানজিলা খাতুন কালবেলাকে বলেন, আমাদের একটা থাকার ঘর নেই। মাকে নিয়ে খুব কষ্টে থাকি। সমাজের কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি যদি আমাদের একটি ঘর দিতেন তাহলে আমাদের আর এভাবে রোদ বৃষ্টিতে কষ্ট হতো না। সুলতানা ইয়াসমিন কালবেলাকে বলেন, স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে আমারও একটা সুখের সংসার ছিল। তিন বছর আগে হঠাৎ শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়লে স্বামী তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে উঠতে দেয়নি সৎমা। কিছু ব্যক্তির সহযোগিতায় নিয়ামতপুর উপজেলা হাসপাতাল চত্বরে ছিলাম। এরপর সেখানেও থাকার জায়গা না পেয়ে মাস তিনেক ধরে মেয়েকে নিয়ে যাত্রীছাউনিতে থাকছি।
তিনি বলেন, মেয়েটা সারাদিন বিভিন্ন জনের কাছে গিয়ে হাত পাতে।

যেটুকু চাল টাকাপয়সা পায় সেটুকু নিয়ে এক বেলা দুমুঠো ভাত মুখে উঠে। আমার মেয়েটাও বড় হচ্ছে। মেয়েটার জন্য একটা থাকার ঘরের প্রয়োজন। প্রতিবন্ধী সুলতানা ইয়াসমিনের চিকিৎসা বা সংসার চালানোর জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তার প্রতিবেশীরা।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com