শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৪ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিবের বিরুদ্ধে কক্সবাজারের পেকুয়ায় অটোরিকশা-ডাম্পার ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫ চকরিয়ায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা চকরিয়ার হারবাং- কাভার্ডভ্যান চাপায় পথচারী নিহত: জাতীয় নির্বাচন ২০২৬-শে. আ.লীগএলে কী পরিস্থিতি হবে? জানতে চান ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ঝালকাঠিতে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতা পরিহার করে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি বাজায় রাখার আহ্বানে মানববন্ধন চকরিয়ায় মসজিদের কমিটি নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ,আহত দুই সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম ১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবেক এমপি নদভী রিমান্ডে পপুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালাতে গিয়ে পাইকগাছায় আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু সাতকানিয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতাসহ তিনজন গ্রেপ্তার:

৯১ এর পর সবচেয়ে ছোট মন্ত্রিসভা

বিশেষ প্রতিনিধি, মোঃ সেলিম উদ্দিন

আয়তন ও অর্থনৈতিক বিবেচনায় বাংলাদেশ ছোট্ট দেশএরপরও সরকার গঠনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক কারণে মন্ত্রীর সংখ্যা বেশি রাখা হয়। এতে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হয়। কিন্তু, কোন সরকারই দায়িত্ব গ্রহণের পর সেসব দিক চিন্তা করে না। বরং নিজ দলের নেতাদের খুশি রাখতে সরকারী দল মন্ত্রীর সংখ্যা বাড়ানোর প্রতিযোগীতায় নামে।

১৯৯১ সালের পর এবারই সবচেয়ে ছোট মন্ত্রিসভা গঠন করা হচ্ছে। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ৬টি রাজনৈতিক সরকার দেশ পরিচালনা করেছে। মন্ত্রিসভার আকার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সব সরকারের মন্ত্রিসভার আকার ছিল ৪৫ জনের বেশি। সবশেষ সরকারের মন্ত্রীসভার আকার ছিল সবচেয়ে ছোট ৪৫ জনের। আর ২০০৯ থেকে ২০১৪ সরকারের মন্ত্রিসভার আকার ছিল সবচেয়ে বড় ৬২ জনের। ২০০১ থেকে ২০০৬ সরকারের সময়ে হারুনার রশিদ খান মুন্নুকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করে রাষ্ট্রীয় সবধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার নজীরও রয়েছে।

প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সরকারের খরচ কমিয়ে আনতে গুচ্ছ মন্ত্রিসভা গঠনের কথা বলেছিলেন। তার ধারণা মতে, বাংলাদেশে একই বিষয়ে কাজ করে এমন একাধিক মন্ত্রণালয় রয়েছে। এগুলো একত্র করে একটি মন্ত্রণালয়ে একজন মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী করলে মন্ত্রিসভার সংখ্যা কমে আসবে। এটা করা হলে মন্ত্রিসভার পেছনে খরচ কমবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রম

পরিচালনা করা সহজ হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১-১৯৯৬ সরকারের মন্ত্রিপরিষদের আকার ছিল ৫০ জন। এই মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী ছিলেন ২৫ জন, প্রতিমন্ত্রী ২২ জন এবং উপমন্ত্রী ৩ জন। ১৯৯৬-২০০১ সরকারের মন্ত্রিপরিষদের আকার ছিল ৪৯ জন। এই মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী ২২ জন, প্রতিমন্ত্রী ২৪ জন এবং উপমন্ত্রী ৩ জন। ২০০১-২০০৬ সরকারের মন্ত্রিপরিষদের আকার ছিল ৬০ জন। এই মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী ২৮ জন, প্রতিমন্ত্রী ২৮ জন এবং উপমন্ত্রী ৪ জন। ২০০৯-২০১৪ সরকারের মন্ত্রিপরিষদের আকার ছিল ৬২ জন। এই মন্ত্রিপরিষদে মন্ত্রী ৩৮ জন ও প্রতিমন্ত্রী ২৪ জন। ২০১৪-২০১৯ সরকারের মন্ত্রিপরিষদের আকার ছিল ৫৯ জন।

এই সরকারের মন্ত্রী ৩৬ জন, প্রতিমন্ত্রী ২১ জন এবং উপমন্ত্রী ছিল ২ জন। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সরকারের মন্ত্রিপরিষদের আকার ৪৫ জন। এই সরকারের মন্ত্রীর সংখ্যা ২৪ জন, প্রতিমন্ত্রী ১৮ জন এবং উপমন্ত্রী রয়েছেন ৩ জন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে আরও জানা গেছে, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন ১১ জন।

এদের মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ের উপদেষ্টা ৭ জন এবং প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের উপদেষ্টা ৪ জন। ২০০১ থেকে ২০০৬ সরকারের সময়ে উপদেষ্টা ছিলেন ৬ জন। এদের মধ্যে মন্ত্রী পদমর্যাদার ১ জন, প্রতিমন্ত্রী ৪ জন এবং উপমন্ত্রী পর্যায়ের ১ জন উপদেষ্টা ছিল। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন ১১ জন।

এরমধ্যে মন্ত্রী পদমর্যাদার ১০ জন এবং প্রতিমন্ত্রী মর্যাদার ১ জন উপদেষ্টা ছিলেন। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সরকারের সময়ে মন্ত্রী মর্যাদার উপদেষ্টা ৫ জন এবং মন্ত্রী মর্যাদায় একজন বিশেষ দূত ছিলেন। আর ঢাকার দুই মেয়রের মন্ত্রীর মর্যাদা ছিল। ২০১৯ থেকে ২০২৩ মেয়াদে মন্ত্রীর মর্যাদায় উপদেষ্টা ছিলেন ৭ জন। এছাড়া ঢাকার দুই মেয়রকে মন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

সাবেক সচিব ও গণমাধ্যম বিশ্লেষক আবু আলম মো. শহিদ খান বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর কে বলেন, বাংলাদেশ ছোট দেশ সে হিসেবে মন্ত্রিসভার আকার বড় বলে মনে হয়। এরচেয়ে কম আকারের মন্ত্রিসভা রেখেও সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনা করা সম্ভব। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারের কাজের ধরন বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বলেন, আইন ও সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিদের যথেষ্ঠ ক্ষমতা দেওয়া আছে। কিন্তু, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা তা চর্চা করেন না। এতে করে তাদের দূর্বলতা প্রকাশ পায়। এখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সমস্যা, শপথ নেওয়ার পর তার দায়িত্ব হচ্ছে, আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করা। কিন্তু, তিনি সেটা না করে যদি অন্য কারোর ওপর নির্ভর করে চলেন, এটা তার সমস্যা।

আইন অনুযায়ী মন্ত্রীদের ক্ষমতা বাড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই; দরকার হল সংবিধান ও আইনের যথাযথ চর্চা করা। সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা মনে করেন নতুন সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কথা বলা হয়েছে।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট মন্ত্রীসভা ও স্মার্ট প্রশাসন গড়ে তুলতে হবে। প্রয়োজনের তুলনায় সংখ্যা বাড়ানো এবং অদক্ষ মন্ত্রিসভা কোনোভাবেই স্মার্ট হতে পারে না। বিগত সরকারের সময়ে অনেক মন্ত্রণালয়ের অযোগ্য লোকদের মন্ত্রিসভায় দেখা গেছে। এবারও সেরকম হলে তাতে কোনো সুফল মিলবে না। যোগ্যমন্ত্রিসভা না হলে তারা প্রশাসন পরিচালনায় চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেন। আর যোগ্য প্রশাসন না থাকলে দেশের সামগ্রিক কাজে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মন্ত্রিসভার আকার ৪৫ থেকে ৬০ হয়ে থাকে সাধারণত। দেশের আয়তন ও জনসংখ্যার বিবেচনায় মন্ত্রিসভার সংখ্যা বেশি। রাজনৈতিক কারণে মন্ত্রিসভার সংখ্যা বাড়ানো হয়; এতে সরকারের ব্যয়ও বাড়ে। মন্ত্রিসভার পাশাপাশি মন্ত্রী পদমর্যাদাও দেওয়া হয় অনেককে। সে হিসাব করলে মন্ত্রীর সংখ্যা আরও বেশি। সরকারকে এসব দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টিপাত করতে হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com