বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।

বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবসে নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের দিন ব‍্যাপী কর্মসূচি

রক্তাক্ত বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট। আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ১৮ বছর। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে তখনকার বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
হামলায় শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু গ্রেনেডের আঘাতে নিহত হন দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন। আহত হন আরো প্রায় ৫ শতাধিক। যাদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন।
এই বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন- আইভি রহমান, শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ল্যান্স করপোরাল (অব:) মাহবুবুর রশীদ, আবুল কালাম আজাদ, রেজিনা বেগম, নাসির উদ্দিন সরদার, আতিক সরকার, আবদুল কুদ্দুস পাটোয়ারি, আমিনুল ইসলাম মোয়াজ্জেম, বেলাল হোসেন, মামুন মৃধা, রতন শিকদার, লিটন মুনশী, হাসিনা মমতাজ রিনা, সুফিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম (আদা চাচা). মোশতাক আহমেদ সেন্টু, মোহাম্মদ হানিফ, আবুল কাশেম, জাহেদ আলী, মোমেন আলী, এম শামসুদ্দিন এবং ইসহাক মিয়া।
মারাত্মক আহতরা হলেন- শেখ হাসিনা, আমির হোসেন আমু, প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক, প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ওবায়দুল কাদের, মোহাম্মদ হানিফ, সম্প্রতি প্রয়াত অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, এ এফ এম বাহাউদ্দিন নাছিম, নজরুল ইসলাম বাবু, আওলাদ হোসেন, মাহবুবা পারভীন, অ্যাডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল, নাসিমা ফেরদৌস, শাহিদা তারেক দীপ্তি, রাশেদা আখতার রুমা, হামিদা খানম মনি, ইঞ্জিনিয়ার সেলিম, রুমা ইসলাম, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেইন, মামুন মল্লিক প্রমুখ।
অভিযোগ আছে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের এই হত্যাকান্ডের প্রতিকারের ব্যাপারে তৎকালীন বিএনপি সরকার নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করেছিল। শুধু তাই নয় এ হামলার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের রক্ষা করতে সরকারের কর্মকর্তারা ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত পাঁচটি গ্রেনেড ধ্বংস করে দিয়ে প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টাও করা হয়েছিল।
পরবর্তী সময়ে নতুন করে তদন্ত শুরু হলে বিএনপি সরকারের প্রভাবশালী স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুরজ্জামান বাবর ঘটনার সাথে তারেক রহমান জড়িত আছেন বলে দাবি করে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাধর বড় পুত্র তারেক রহমান ‘এ হামলার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছিলেন।’
এই হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি অথবা গোষ্ঠীর সন্ধানদাতার জন্য সেসময় বাবর এক কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন। হামলার পর বাবরের তত্বাবধানে একটি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় এবং এতে জজ মিয়া নামে এক ভবঘুরে, একজন ছাত্র, একজন আওয়ামী লীগের কর্মীসহ ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। অথচ পরবর্তী তদন্তে তাদের কারও বিরুদ্ধেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অনুকূল পরিস্থিতিতে সরকার এ হামলার পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিলে এবং সাড়ে তিন বছর পর বিলম্বিত পুলিশ চার্জ শিট নথিভুক্ত করা হয়।
পুনরায় তদন্তে পুলিশ এই হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ২১ জনকে চিহ্নিত করে। এর আগে বেশ কয়েকটি বিদেশি মিশন যেমন ব্রিটিশ স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড, ইউএস ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ইন্টারপোল বাংলাদেশি তদন্তকারীদের সাথে যোগ দিলেও বিএনপি সরকার তাদের সহযোগিতা করেনি বলে এসব প্রতিষ্ঠান অভিযোগ করেছিল।
বিচারিক আদালতের রায়ে বিএনপি-জামায়াত জোট আমলের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, গোয়েন্দা সংস্থার তৎকালীন দুই শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ জন জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি-বি) সদস্য। এছাড়া রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন ও অপর ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৮ তম বার্ষিকী পালন করেছে নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ। রবিবার (২১ আগস্ট) সকালে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা আ.লীগ দলীয় কার্যালয়ে ২১ আগস্টে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে প্রথমে ২১ আগস্টে নিহতদের স্মরণে নির্মিত প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
নাগরপুর উপজেলা আ. লীগ সভাপতি, তরুণ ব্যক্তিত্ব,মেধাবী নেতৃত্ব, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী নেতৃবৃন্দের ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল জননেতা আলহাজ্ব মো: জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম এর সভাপতিত্বে ও নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের বিপ্লবী সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক, নাগরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বারবার নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান, বর্তমান সময়ের নাগরপুর উপজেলায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে জননেতা মো: কুদরত আলী’র সঞ্চালনায় উল্লেখিত কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার,  সদস্য এ্যাড. দাউদুল ইসলাম দাউদ,  সদস্য কাজী এ টি এম আনিসুর রহমান বুলবুল, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য, সাবেক অধ্যাপক বাবু লক্ষী কান্ত সাহা, উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি মতিয়ার রহমান মতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর, সৈয়দ নাজমুল হক তপন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক ভিপি বি এম এম জহুরুল আমিন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খালিদ হোসেন,  শিক্ষা ও মানব কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, সম্মানিত সদস্য মোঃ আওলাদ হোসেন লিটন, মোঃ হামিদুর রহমান লালন, মোঃ হাশেম মিয়া, মামুদনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জজ কামাল, মোকনা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শরিফুল ইসলাম, সদস্য ছানিয়ার হোসেন, নাগরপুর সরকারি কলেজের সাবেক (ভিপি) আল মামুন  সহ সকল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি-সম্পাদক ও নেতাকর্মীরা।
আলোচনা সভায় বক্তারা ২১শে আগস্ট নৃশংস বোমা হামলার ইতিহাস তরুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেন।আলোচনা সভা শেষে ২১শে আগস্ট এ গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদদের আত্মার শান্তি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের নিহত সকল সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনায় এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com