বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:১২ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ বিল্লাল হোসেন।  আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট রাসেল । যোগাযোগ : ০৩১-৭২৮০৮৫, ০১৮১১৫৮৮০৮০ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com জহুর উল্লাহ বিল্ডিং (৩য় তলা), পানওয়ালা পাড়া, চৌমুহনী, উত্তর আগ্রাবাদ ১২৭৭, চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
উন্নয়ন চাইলে নৌকার বিকল্প নেই-ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বিজিবির শততম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ সম্পন্ন পদুয়ায় বাজারে সাত টি দোকানে ভয়াবহ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত সিএনজি চালক মোঃ কামাল হোসেন, মৃত্যুবরণ করেন সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগেই ‘হোঁচট’ খেয়েছেন চট্টগ্রামের পাঁচটি আসনে হেভিওয়েট আট প্রার্থী যশোরে বিএনপির ডাকা অবরোধে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক ভোটারের ভুয়া স্বাক্ষরসহ গুরুতর সব ‘গরমিল’ ২ স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন বাতিল হয়েছে মৃত্যু কুফে পরিনিত চট্রগ্রাম কক্সবাজার হাইওয়ে স্বামীরা ক্ষমতাধর,অর্ধাঙ্গিনীরা সম্পদশালী কেউ কেউ সম্পদে স্বামীকেও ছাড়িয়ে গেছেন সংসদীয় আসন নং-২৯২, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতালেব এবং ডা. মিনহাজের মনোনয়নপত্র বাতিল

প্রতি জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে খানজাহান আলী আশ্রয়ন প্রকল্প, বাঁধ নির্মাণের দাবি

পাঁচদিন ধরে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে বাগেরহাট শহরের ভৈরব নদের তীরে মাঝিডাঙ্গা এলাকায় গড়ে ওঠা খানজাহান আলী আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকা। জোয়ারের পানিতে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের জীবন-যাপন। প্রতিদিন দুপুরে এবং মাঝ রাতে দুই বারের পানিতে ঘর-বাড়ি ভাসছে তাদের।

পানিতে রান্না-বান্না বন্ধ রাখতে হচ্ছে অনেকের। বছরের আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র তিন মাসই জোয়ারের পানির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয় তাদের।

চরমে ভোগান্তিতে পড়তে হয় অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশুদের। সমস্যা সমাধানের টেকসই বাঁধ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ওই এলাকার ২৫০টি পরিবার।১৯৯৭ সালে নির্মিত খানজাহান আলী আশ্রয়ন প্রকল্পের ব্যারাকে ৬০টি ভূমিহীন পরিবার বসবাস করেন। এছাড়া আশ্রয়ন কেন্দ্রের আশে পাশে আরও ২০০ পরিবার বসবাস করে।

সবার একটাই দাবি স্থায়ী ও উঁচু ভেড়িবাঁধ স্থাপনের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা। আশ্রয়ন কেন্দ্রের বাসিন্দা তোফাজ্জেল শেখ বলেন, নদের পাড় জুড়ে মাত্র ৫০০ মিটার বাঁধের অভাবে আশ্রয়ণ ও স্থানীয়দের প্রতিবছর জোয়ারে ডুবতে হয়। পানির স্রোতে ঘর বাড়ি ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি, সুপেয় পানিরও সংকট দেখা দেয় আমাদের এখানে।

১৭ বছর ধরে আশ্রয়নের ঘরে বাস করা দোকানি মোসা শেখ বলেন, প্রতিবছরই জোয়ারের পানিতে আমাদের ডুবতে হয়। বিশেষ করে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে হাটু সমান পানি উঠে যায় সব জায়গায়। স্থানীয়রা মিলে যে বাঁধ দিই, তা পানির চাপ বাড়লেই ভেঙে যায়। অনেকেই এসে দেখে, ছবি তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু কোনো কাজ হয় না।

স্থানীয় সোহরাব হোসেন রতন বলেন, আমরা ত্রাণ বা খাদ্য সহায়তা চাই না। আমাদের বাচার জন্য টেকসই ভেড়িবাঁধ চাই। জনপ্রতিনিধি ও সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, অতি দ্রুত যেন একটি বাঁধ নির্মাণ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় ভ্যান চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, পানি উঠে গেলে আমাদের কাজ-কর্ম বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে বাড়িতেই বসে থাকতে হয়। জানিনা কবে এই ভোগান্তির শেষ হবে।

বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, প্লাবিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। জোয়ারের পানি বাড়লে রাস্তা টপকে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাথে রাস্তার বিষয়ে কথা বলেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে ভেড়িবাঁধের বিষয়ে কথা হয়ে হয়েছে। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করতে পারব।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুম বিল্লাহ বলেন, পূর্ণিমার প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের সময় সকল নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে মাঝিডাঙ্গা আশ্রয়ন ও পার্শ্ববর্তী এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মূলতঃ ভেড়িবাঁধ না থাকার কারণে জোয়ারের পানি সহজে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিত করে জোয়ারের পানি আটকানোর জন্য প্রকল্প প্রস্তাবনা দেওয়া হবে। প্রকল্প অনুমোদন হলে দ্রুত কাজ শুরু করব।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com