রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৮:০৪ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
চট্টগ্রামে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন: প্রেমের ফাঁদে ফেলে রনজিৎ দত্তকে হত্যা, প্রধান দুই আসামি গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান এলডিসি উত্তরণ মসৃণ করতে দ্রুত ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের চট্টগ্রামে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শান্তি শোভাযাত্রায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী রাজশাহীর দুর্গাপুরে মকবুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি আলামিনসহ চারজন কক্সবাজারে গ্রেপ্তার তানোরে ফসলী জমি হ্রাস খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা নতুন সংবিধান হওয়া পর্যন্ত ৭২’র সংবিধানে সংশোধনী আনা যেতে পারে: আইন উপদেষ্টা ‘আল-মারচুচ হজ্ব কাফেলা আল্লাহর মেহমানদেরকে দীর্ঘ চব্বিশ বছর ধরে সেবা দিয়ে আসছে’ র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এবং র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার এর যৌথ অভিযানে সীমা হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার পাকিস্তানের দাবি ভারতের এস-৪০০ ধ্বংসের ভারতের পাঁচ বিমানঘাঁটিতে হামলার দাবি পাকিস্তানের

প্রতি জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে খানজাহান আলী আশ্রয়ন প্রকল্প, বাঁধ নির্মাণের দাবি

পাঁচদিন ধরে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে বাগেরহাট শহরের ভৈরব নদের তীরে মাঝিডাঙ্গা এলাকায় গড়ে ওঠা খানজাহান আলী আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকা। জোয়ারের পানিতে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের জীবন-যাপন। প্রতিদিন দুপুরে এবং মাঝ রাতে দুই বারের পানিতে ঘর-বাড়ি ভাসছে তাদের।

পানিতে রান্না-বান্না বন্ধ রাখতে হচ্ছে অনেকের। বছরের আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র তিন মাসই জোয়ারের পানির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয় তাদের।

চরমে ভোগান্তিতে পড়তে হয় অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশুদের। সমস্যা সমাধানের টেকসই বাঁধ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ওই এলাকার ২৫০টি পরিবার।১৯৯৭ সালে নির্মিত খানজাহান আলী আশ্রয়ন প্রকল্পের ব্যারাকে ৬০টি ভূমিহীন পরিবার বসবাস করেন। এছাড়া আশ্রয়ন কেন্দ্রের আশে পাশে আরও ২০০ পরিবার বসবাস করে।

সবার একটাই দাবি স্থায়ী ও উঁচু ভেড়িবাঁধ স্থাপনের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা। আশ্রয়ন কেন্দ্রের বাসিন্দা তোফাজ্জেল শেখ বলেন, নদের পাড় জুড়ে মাত্র ৫০০ মিটার বাঁধের অভাবে আশ্রয়ণ ও স্থানীয়দের প্রতিবছর জোয়ারে ডুবতে হয়। পানির স্রোতে ঘর বাড়ি ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি, সুপেয় পানিরও সংকট দেখা দেয় আমাদের এখানে।

১৭ বছর ধরে আশ্রয়নের ঘরে বাস করা দোকানি মোসা শেখ বলেন, প্রতিবছরই জোয়ারের পানিতে আমাদের ডুবতে হয়। বিশেষ করে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে হাটু সমান পানি উঠে যায় সব জায়গায়। স্থানীয়রা মিলে যে বাঁধ দিই, তা পানির চাপ বাড়লেই ভেঙে যায়। অনেকেই এসে দেখে, ছবি তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু কোনো কাজ হয় না।

স্থানীয় সোহরাব হোসেন রতন বলেন, আমরা ত্রাণ বা খাদ্য সহায়তা চাই না। আমাদের বাচার জন্য টেকসই ভেড়িবাঁধ চাই। জনপ্রতিনিধি ও সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, অতি দ্রুত যেন একটি বাঁধ নির্মাণ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় ভ্যান চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, পানি উঠে গেলে আমাদের কাজ-কর্ম বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে বাড়িতেই বসে থাকতে হয়। জানিনা কবে এই ভোগান্তির শেষ হবে।

বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, প্লাবিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। জোয়ারের পানি বাড়লে রাস্তা টপকে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাথে রাস্তার বিষয়ে কথা বলেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে ভেড়িবাঁধের বিষয়ে কথা হয়ে হয়েছে। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করতে পারব।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুম বিল্লাহ বলেন, পূর্ণিমার প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের সময় সকল নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে মাঝিডাঙ্গা আশ্রয়ন ও পার্শ্ববর্তী এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মূলতঃ ভেড়িবাঁধ না থাকার কারণে জোয়ারের পানি সহজে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিত করে জোয়ারের পানি আটকানোর জন্য প্রকল্প প্রস্তাবনা দেওয়া হবে। প্রকল্প অনুমোদন হলে দ্রুত কাজ শুরু করব।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com