সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন
লাইফস্টাইল ডেস্ক:
বর্তমান সময়ে বিশ্বের অনেক দেশে বেবি বুমার্স প্রজন্ম (১৯৪৬ থেকে ১৯৬৪ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া মানুষ) সমাজে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। বয়সে প্রবীণ হলেও তাঁদের উপর ভর করছে পরিবার, কর্মক্ষেত্র ও সামাজিক জীবনের অনেক দায়-দায়িত্ব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ প্রজন্ম শুধু নিজেদের বার্ধক্যের চ্যালেঞ্জই মোকাবিলা করছেন না, বরং একই সঙ্গে সন্তানদের সহায়তা এবং নাতি-নাতনিদের যত্ন নেওয়ার দায়িত্বও পালন করছেন। আবার অনেকেই এখনও সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন, অর্থনৈতিকভাবে পরিবারকে সমর্থন দিচ্ছেন।
পরিবারে ভরসা
অনেক দেশে দেখা যায়, কর্মজীবী বাবা-মা ব্যস্ত থাকায় নাতি-নাতনিদের দেখভালের দায়িত্ব দাদা-দাদী বা নানা-নানীর কাঁধে পড়ে। ফলে বেবি বুমার্সরা হয়ে উঠেছেন পারিবারিক জীবনের প্রধান সহায়ক।
অর্থনৈতিক অবদান
প্রবীণ হলেও অনেক বেবি বুমার্স এখনও কাজ করছেন অথবা অবসরের সঞ্চয় দিয়ে পরিবারের বিভিন্ন ব্যয় মেটাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার সন্তানের বাড়ির ঋণ, শিক্ষা বা স্বাস্থ্য খাতে বড় অবদান রাখছেন।
সামাজিক দায়িত্ব
শুধু পরিবার নয়, সমাজেও তাঁরা সক্রিয়। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কিংবা দাতব্য কর্মকাণ্ডে জড়িত থেকে তরুণদের অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন।
চ্যালেঞ্জ ও ক্লান্তি
তবে এ দায়িত্ব সবসময় সহজ নয়। শারীরিক অসুস্থতা, বয়সজনিত সমস্যা এবং অর্থনৈতিক চাপ তাঁদের অনেককে ক্লান্ত করে তোলে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকার ও সমাজকে এই প্রজন্মের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক সমর্থন ও অবসরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।
জীবনযাত্রার এই বাস্তবতা দেখাচ্ছে, বেবি বুমার্সরা শুধু অতীতের প্রজন্ম নন, বরং বর্তমান সমাজ ও পরিবারকে টিকিয়ে রাখার এক অদৃশ্য স্তম্ভ।