বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০২ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক নিউজ:
বিএনপি যাকে নির্বাচনের জন্য প্রতীক বরাদ্দ দেবে তার সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আপনারা সবাই কাজ করবেন। এমন আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি আহসান হাবিব। তিনি বলেন, ‘বিএনপি বৃহত্তর একটি দল। দল-মত-গ্রুপ থাকতেই পারে। দল যাকে নির্বাচনের জন্য প্রতীক বরাদ্দ দেবে তার সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আপনারা সবাই কাজ করবেন।’গতকাল চট্টগ্রামের দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। আজ (সোমবার) সেই বক্তব্যের একটি ভিডিওটি ভাইরাল হয়। পরে যদিও ওসি আহসান হাবিব তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন ‘বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’৬ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ভিডিওতে ওসি আহসান হাবিবকে বলতে শোনা যায়, ‘বীর সন্তান শহীদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আমি আমার বক্তব্য শুরু করছি। আমার কথা হলো, বিএনপি বৃহত্তর একটি দল। দল-মত-গ্রুপ থাকতেই পারে। দল যাকে নির্বাচনের জন্য প্রতীক বরাদ্দ দেবে তার সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আপনারা সবাই কাজ করবেন। আরেকটি কথা, বিএনপি ১৬ বছর সরকারের বাইরে ছিল। চুরি, ছিনতাই, ধর্ষণ এগুলোতে ছিল না।’
আওয়ামী লীগের আমলে বিশ্বে ধর্ষণে নজির তৈরি হয়েছে দাবি করে ওসি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সময়ে ধর্ষণ হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ হয়েছে। বিশ্বের নজির ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে হয়েছে। যারা সাধারণ মানুষকে ১৬ বছর ঘরছাড়া করেছিল, নির্যাতন করছিল।’
বিএনপি নেতা কর্মীদের মামলায় সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়ে আহসান হাবিব বলেন, ‘আমার এক ভাই বলেছে, মামলা নিচ্ছে না পুলিশ। আমার সাথে যোগাযোগ করলে আমি একটা সঠিক পরামর্শ দেব। প্রয়োজনবোধে কোর্টে আলাপ করব মামলাটি কীভাবে এস্টাবলিশড করা যায়। তার জন্য আমি চেষ্টা করব।’
আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের গণধোলাই দিয়ে থানায় সোপর্দের আহ্বান জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে যারা চাঁদাবাজি করছে, হামলা করছে, তাদের গণধোলাই দিয়ে থানায় নিয়ে আসবেন। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কোনো ঠাঁই নেই। তাদের গণধোলাই দেবেন।’তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ করে একটি কথা বলতে চাই, যারা ৫ আগস্টের আগে বিভিন্ন মানুষের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে, মারপিট করছে, তাদের দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার মধ্যে গণধোলাই দিয়া থানায় নিয়ে আসবেন। বিশেষ করে ছাত্রলীগ ঠাঁই পাবে না। আপনাদের এই পর্যায়ে যদি আওয়ামী লীগ থাকত আপনাদের ঠ্যাং-ঠোং (হাত-পা) ল্যাংড়া হয়ে যেতো।’