বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন বিশেষ প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং শুরু হয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নগরীতে টানা এক ঘণ্টাও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকছে না।
বিদ্যুৎ না থাকায় বাসা-বাড়িতে ওয়াসার পানি সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। এতে পানির সংকটে পড়েছেন নগরবাসী। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত। বাসা-বাড়িতে দুর্ভোগের পাশাপাশি কল-কারখানাতেও পড়ছে বিরূপ প্রভাব। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, উৎপাদন কমায় লোডশেডিং বেড়েছে।
তবে গত সরকারের ব্যাপক লুটপাটের কারণেই এ খাতে বেহাল অবস্থা, বলছেন বিশিষ্ট নাগরিকেরা। চট্টগ্রামে অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে লোডশেডিং। দিন-রাত মিলে সাত থেকে ১০ বার পর্যন্ত লোডশেডিং হয় কোনো কোনো এলাকায়। প্রতিবার অন্তত এক ঘণ্টা থাকে না বিদ্যুৎ।
শনিবার থেকে লোডশেডিং শহর এলাকায় কিছুটা কমলেও গ্রামের অবস্থা আগের মতোই। ফলে চরম ভোগান্তিতে মানুষ। সন্ধ্যার পর আরও বেড়ে যায় লোডশেডিং। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, প্রতিদিন অন্তত ছয় থেকে সাত বার লোডশেডিং হচ্ছে। এক এক বার এক ঘণ্টার কমে বিদ্যুৎ আসে না। কোনো কোনো দিন প্রায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। প্রচন্ড গরমে রাতে ঘুমাতে পারে না শিশু ও বয়স্করা। চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে সবাই লোডশেডিংয়ের কারণে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বৃহস্পতিবার লোডশেডিং ছিল ৩৮০ মেগাওয়াট। শনিবার ১০০ মেগাওয়াট। রোববার সকালে ১ হাজার ৯ শ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ১২ শ মেগাওয়াটের কাছাকাছি। চট্টগ্রাম বিদুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম মৃধা বলেন, ‘দিন–রাত মিলিয়ে চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও প্রায় ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না।
এর কারণ হলো, বিদ্যুৎ সরবরাহকারী বেশ কয়েকটি পাওয়ার স্টেশন বন্ধ রয়েছে। যেমন মাতারবাড়ীতে দুটি স্টেশন বন্ধ। এ ছাড়া আরও একটি স্টেশন বন্ধ রয়েছে। সেখানে ১৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে ৪০০ মেগাওয়াট।
যার কারণে ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে।’ লোডশেডিংয়ের সমস্যা নিয়ে চট্টগ্রাম সম্মিলিত নাগরিক ফোরামের সদস্য নাসির জসি বলেন, বিদ্যুৎ খাতে লাগামহীন দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। সব দুর্নীতির তদন্তের পাশাপাশি উৎপাদন বাড়াতে হবে। চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে ছোট বড় ২৪টি।