রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৯:৩২ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
রাজশাহীতে ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যার দেড় মাস পর ঢাকায় চাচা গ্রেপ্তার মৌলভীবাজারের পথে পথে সোনালুর মাধুর্য: প্রকৃতির হাতে আঁকা হলুদ রঙের শাওয়ার তানোরে প্রেমিক হ’ত্যায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩ রাজশাহীতে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন বাঘায় সড়কে প্রাণ গেল শিক্ষকের,রেখে গেলেন সন্তান সম্ভাবনা স্ত্রী রাজশাহীতে একদিনে ৫ মৃতদেহ উদ্ধার রাজশাহীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই কিশোর নিহত তানোরে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা গোপন বক্সে গাঁজা, র‌্যাবের জালে দুই যুবক চা বাগানে প্রবেশে ২০ টাকা ফি নির্ধারণের নির্দেশ, শ্রমিক কল্যাণে ব্যয়ের প্রস্তাব শ্রম উপদেষ্টা ড. সাখাওয়াত

ঘাটাইলে বিদ্যালয় ঘেষে কারখানা নির্মাণের প্রতিবাদ

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার আঠারদানা বাদেপার্শী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেষে ধলেশ্বরী এগ্রো ফুড মিলস নামে একটি কারখানা স্থাপন করার প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসি মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে। সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে আঠারদানা স্কুল সংলগ্ন টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে এ মানববন্ধন করা হয়।

এতে স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ এলাকার নারী পুরুষ কারখানাটির নির্মান কাজ বন্ধের দাবিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এতে যানচলাচল বন্ধ হয়ে সড়কের উভয় পার্শ্বে দীর্ঘ ৬ কি.মি. যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে আঠার দানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম বলেন, এখানে কারখানাস্থাপন করা হলে কোমল মতি শিক্ষার্থীরা বায়ূদুষন ও শব্দ দূষনের শিকার হবে। এতে লেখা পড়ার পরিবেশ বিঘ্নিত হবে। এ বিষয়ে আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। তার পরও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

ঘাটাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুদুর রহমান বলেন, গত এক বৎসর ধরে আঠার দানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেষে একটি ফুড প্রসেসিংমিল স্থাপনের চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি লিখিতভাবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। এর মধ্যে শুনলাম পরিবেশ থেকে ছাড় পত্র দেয়া হয়েছে। তবে কিভাবে ছাড় পত্র পেয়েছে তা আমাদের জানা নাই।

জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের টাঙ্গাইল উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, কারখানা স্থাপনের জন্য আমার কাছে একটি আবেদন আসে। পাশাপাশি অভিযোগও পাই। পরে উভয় পক্ষের আপোষ মিমাংশার প্রেক্ষিতে আমরা ঢাকায় কাগজ পত্র পাঠাই। ওখান থেকে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ওনিই ছাড় পত্র দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে নির্মানাধীন মিল মালিক আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমি যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবেশের ছাড় পত্র পেয়েই কাজ করছি। প্রশাসন যদি মনে করেন এখানে করা ঠিক হবেনা আমি মেনে নিব।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কারখানাটি স্থাপিত হলে কারখানার দূষিতপানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা থাকবেনা। কারখানার ধূলাবালি, ছাই ও চাউল ছাটাইয়ের কুড়া উড়ে স্কুলসহ আশেপাশে বাড়িঘরে ছড়িয়ে পড়বে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com