সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি:
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, বার্তা প্রধান : মোহাম্মদ আসিফ খোন্দকার, আইনবিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ইলিয়াস , যোগাযোগ : ০১৬১৬৫৮৮০৮০,০১৮১১৫৮৮০৮০, ঢাকা অফিস: ৪৩, শহীদ নজরুল ইসলাম রোড, চৌধুরী মল (৫ম তলা), টিকাটুলি ১২০৩ ঢাকা, ঢাকা বিভাগ, বাংলাদেশ মেইল: bdprotidinkhabor@gmail.com চট্টগ্রাম অফিস: পিআইবি৭১ টাওয়ার , বড়পুল , চট্টগ্রাম।
সংবাদ শিরোনাম:
রাজশাহীতে ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যার দেড় মাস পর ঢাকায় চাচা গ্রেপ্তার মৌলভীবাজারের পথে পথে সোনালুর মাধুর্য: প্রকৃতির হাতে আঁকা হলুদ রঙের শাওয়ার তানোরে প্রেমিক হ’ত্যায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩ রাজশাহীতে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন বাঘায় সড়কে প্রাণ গেল শিক্ষকের,রেখে গেলেন সন্তান সম্ভাবনা স্ত্রী রাজশাহীতে একদিনে ৫ মৃতদেহ উদ্ধার রাজশাহীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই কিশোর নিহত তানোরে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা গোপন বক্সে গাঁজা, র‌্যাবের জালে দুই যুবক চা বাগানে প্রবেশে ২০ টাকা ফি নির্ধারণের নির্দেশ, শ্রমিক কল্যাণে ব্যয়ের প্রস্তাব শ্রম উপদেষ্টা ড. সাখাওয়াত

নীলফামারীতে বিলুপ্তির শেষ প্রান্তে কাউন

সত্যেসুস্বাদু একটি ফসলের নাম কাউন।যা এক সময় নীলফামারীর জেলার ৬ উপজেলায় গ্রামেগঞ্জে ব্যাপক হারে কাউন চাষ হত কিন্তু বর্তমানে উন্নত জাতের নানান লাভ জনক ফসলের প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে কৃষকের অনাগ্রহের কারনে বিলুপ্তির দার প্রান্তে কাউন। ফসলটি যেন কালের গর্ভে বিলীন হতে চলেছে। কাউনের বৈজ্ঞানিক নাম ছিটারিয়া ইটালিকা গোত্র-গ্রামিনি।

দুই মাস ধরে অনেক খোঁজাখুজির পর কাউন চাষের দেখা মেলে ডোমার উপজেলা হরিনচড়া শালমারা গ্রামে কৃষক নবচন্দ্র রায়ের জমিনে সে জানায় অন্য খেতের জমিন থেকে দুই বৎসর ধরি একটি দুটি করে জমা করিছু এবার দুই শতাংশ জমিতে চাষ করিনু বেশকিছু কাউন পামো এগুলো আখিমো আগামীতে বেশী পরিমানে আবাদ করিমো কারন এখন কাউনের ফুটাফুটি দাম।

কথা হয় জনইক ব্যক্তি নীলফামারী সদর ইটাখোলা ইউনিয়নের বীর-মুক্তিযোদ্ধা সুধাংশু চন্দ্র রায়ের সঙ্গে তিনি বলেন আমাদের এ অ লে এক সময় অনেক জমিতেই কাউন চাষ হতো এখন আর চোখে পড়ে না।

ফসলটি সহজ পদ্ধতিতে স্বল্প খরচে চাষাবাদ করা যায়,বৃষ্টির পানিই ছিল চাষাবাদের সেচ ব্যাবস্থা চৈত্র মাসে ছিটিয়ে বপন করে জুলাই মাসে ফসলটি ঘড়ে ওঠে,খরচ ৩৩ শতাংশ জমিতে ২হাজার পাঁচশত হতে তিন হাজার টাকা ফলন হতো ৪ হতে সর্বোচ্চ ৫মন কিন্তু কালের বিবর্তনে সংশ্লিস্ট দপ্তরের সঠিক তদারকির অভাবে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের সংঙ্গে জড়িয়ে থাকা এই ফসলটি আজ  বিলুপ্তির পথে।

এমনকি উপজেলা কৃষিদপ্তরে কাউন চাষের নেই কোন তথ্য।কাউনের হরেক রকমের খীর,পোলাও,পায়েশ,মোয়া খাওয়ার স্বাদ গ্রামবাংলার মানুষে মুখে এখনও লেগে আছে,বর্তমান বাজরে ১কেজি কাউনের দাম ১শত ৫০ টাকা হতে দেরশত টাকা তবুও যেখানে সেখানে পাওয়া মেলাভার,সে সময় কালে ধানের ফলন তেমন না হওয়ায় কৃষকে পড়তে হতো খাদ্য সংকটে সেই সময়কালে গরীবের মঙ্গা তারবার বিকল্প খাদ্য হিসেবে কাউনের ভাত (অত্যন্ত সুস্বাদু)খেয়ে দিনাতিপাত করত গরীব শ্রেনীর মানুষ।বর্তমান কৃষকের কাজথেকে হারিয়ে যেতে বসেছে কাউন ।

সোনারায় উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমনী কান্ত রায় জানান লাভজনক,সুস্বাদু, পরিবেশবান্ধব, স্বল্প খরচে আবাদযোগ্য দেশীয় জাতের ফসলটি যাতে বিলুপ্তি হয়ে না য়ায় এ জন্য আমাদের স্বার্থেই সংরক্ষন করা উচিৎ । তা না হলে পরবর্তি প্রজন্ম জানতেই পারবেনা কাউন নামটি।

এ ব্যাপারে কথা হলে জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ডিডি)আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন সরকারী ভাবে কাউন ফসলটি সংরক্ষনে তেমন কোন প্রক্রিয়া নেই।লাভের পরিমান কম হওয়ায় কৃষক নিরুৎসাহিত কিছু ব্যক্তি পর্যায়ে সমান্য পরিমানে চাষ করে থাকে। তাছারা ভুট্টা,বাদাম,বিভিন্ন আবাদ যোগ্য ফসল কৃষকের হাতে আসায় কাউন ফসলটি এখন বিলুপ্তির পথে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Design & Development BY ThemeNeed.Com