রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪০ অপরাহ্ন
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয়েছে।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে মরদেহ শহীদ মিনারে নেয়া হয়। এর আগে, গুলশানের আজাদ মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
আবুল মাল আবদুল মুহিতের মরদেহ শহীদ মিনারে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাউদ্দিন ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কবির আহমেদ, স্পিকারের পক্ষে কমোডর নাঈম রহমান শ্রদ্ধা জানান।
আওয়ামী লীগের পক্ষে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানান হাছান মাহমুদ, মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রাজ্জাকসহ প্রমুখ।
এছাড়াও শ্রদ্ধা জানান ঢাবি ভিসি ড. আকতারুজ্জামান, ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, জাসদের পক্ষে হাসানুল হক ইনু, পরিবেশ আন্দোলনের পক্ষে আবু নাসের খান, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, উপাচার্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগসহ অনেক সংগঠন।
সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মরদেহ ঢাবি কেন্দ্রীয় মসজিদে দ্বিতীয় জানাজার জন্য নেয়া হবে। বাদ জোহর সেখানে জানাজা শেষে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি সিলেটের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে আগামীকাল বাদ জোহর তৃতীয় জানাজা শেষে রায়নগরের সাহেববাড়ি পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আবুল মাল আবদুল মুহিত একজন আলোকিত মানুষ ছিলেন। তিনি সারাজীবন সততার সাথে আন্তরিকতার সঙ্গে দেশের জন্য কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন, তিনি সেই দায়িত্ব সততার সাথে পালন করেছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আবুল মাল আবদুল মুহিত অত্যন্ত মেধাবী ও কর্মঠ ছিলেন। সেটা তিনি কাজে প্রমাণ দিয়েছেন। শেষ কয়েকদিন যাবত তিনি বারবার বলছিলেন, তিনি চলে যেতে চান। বলতেন আমার কাজ শেষ এবার আমি চলে যেতে চাই, বাকিটা তোমরা দেখো।’
‘গত এক সপ্তাহ চলে যাওয়ার জন্য স্থির হয়েছিলেন। অবশেষে তিনি চলেই গেলেন। তিনি যে স্বপ্ন দেখতেন, আমরা যেন তেমন একটি সুন্দর আগামীর বাংলাদেশ গড়তে পারি, সেই লক্ষ্যে কাজ করে যেতে পারি।’
উল্লেখ্য, আবুল মাল আবদুল মুহিত শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।