রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রশাসন ও সাধারণ: দায় নিয়ে দায়িত্বহীনতায় যত অপরাধ অপকর্মে জড়িত, মহাপ্রতারক- কুখ্যাত
চাঁদাবাজ কথিত সাংবাদিক মনছুর আলম মুন্না,এই কথিত সাংবাদিক নামধারী চাঁদাবাজ ও ইয়াবা ব্যবসায়ী বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচাজ সহ অফিসারদের টার্গেট করে মাদক সিন্ডিকেটের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিউজ করে পরে অফিসারদেরকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে।
সূত্র জানায়- সাবেক চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসিকে- সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাদাবী ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় মনছুর আলম মুন্না গ্রেফতার হয়। এরপর গত ২৪ জানুয়ারি ২০২২ ইং, কক্সবাজারে সাংবাদিকের করা পর্নোগ্রাফি মামলায় চট্টগ্রামের এ কে খান এলাকা থেকে গ্রেফতার হয়, নানা অপকর্ম করতে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণা করতো মুন্না। র্যাবের সোর্স পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ এপ্রিল বিকাল ৪ টার সময় র্যাব-১৫, সিপিএসসি ক্যাম্পের আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিতিত্তে কক্সবাজার শহরের লালদিঘীর পাড় সোনালী ব্যাংকের পাশের গলি থেকে গ্রেফতার হয়। মহাপ্রতারক মুন্না কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়ার দক্ষিণ বড়বিল এলাকার আবদুস সালাম ছেলে মনছুর আলম মুন্না (৩০)। সে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব ঘোনার পাড়া সেলিম ড্রাইভারের বাড়ীতে ভাড়া থেকে সাংবাদিকসহ র্যাব এবং বিভিন্ন সংস্থার সোর্স পরিচয় দিয়ে চাঁদা আদায় ও মাদক ব্যবসা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। স্থানীয় সাংবাদিকদের অভিযোগ, সবার কাছে তিনি পরিচিত সাংবাদিক হিসেবে। সবাই যেন বিশ্বাস করে এজন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমের নিউজ কপি করে নিয়মিত ফেসবুকে পোষ্ট দেন! কখনো গলায় কার্ড ঝুলিয়ে ছবি তুলেছেন সাংবাদিক প্রমাণে! আবার সাধারণ মানুষের কাছে তিনি পরিচিত ক্ষমতাবান হিসেবে! কেউবা আবার চেনেন র্যাব পুলিশের সোর্স হিসেবেও! কিন্তু আসলে তিনি একজন মহাপ্রতারক চাঁদাবাজ। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেই তার এই বহুরূপী সাজ! এই প্রতারক মনছুর আলম মুন্না এর আগে কক্সবাজার সদর থানা কর্তৃক ১ম বার আটক ( ভুয়া সাংবাদিক ও চাঁদাবাজি মামলায়) র্যাব-১৫ কর্তৃক ২য় বার আটক (পর্ণোগ্রাফি মামলায়) র্যাব-১৫ কর্তৃক ৩য় বার আটক (চাঁদাবাজি মামলায়) ও চকরিয়া থানা কর্তৃক ৪র্থ বার আটক (চাঁদাবাজি মামলা) এছাড়া পাবলিক কর্তৃক গণধোলাই খেয়েছে বহুবার,ভুক্তভোগীরা বলেন “এ দায়ভার সরকার ও প্রশাসনকে নিতে হবে, এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে বহুবার স্মারকলিপি দিয়েছি কোন সাড়া পাচ্ছি না,প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে আশকারা পাচ্ছে এই কথিত,কুখ্যাত চাঁদাবাজ ইয়াবা ব্যবসায়ী-সাংবাদিক মনছুর আলম মুন্না, আমরা অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি.!