বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন
মোঃ সেলিম উদ্দিন খান ,বিশেষ প্রতিনিধ:
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তিনবারের সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরীর মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে নাটকীয়তা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে প্রার্থী, সমর্থক ও আইনজীবীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কও হয়। পরে অবশ্য তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তিনবারের সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী। তবে মনোনয়ন ফরমে উল্লেখিত শিক্ষাগত সনদ নিয়ে আপত্তি তুলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর আইনজীবী মুজিবুল হক।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ের সময় এ আপত্তি আনা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে আইনজীবী মুজিবুল হক রিটার্নিং কর্মকর্তা কাছের হুইপ সামশুল ইসলামের শিক্ষাগত সনদ নিয়ে আপত্তি জানান। হুইপ সামশুর মনোনয়নটি বৈধ ঘোষণা করলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা আপিলের সুযোগ রয়েছে বলে জানান।
পরে অ্যাডভোকেট মুজিবুল দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর কে জানান, মনোনয়ন ফরমে তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়েছেন এইচএসসি পাশ। যে সনদটি দাখিল করেছেন সেখানে ক্রমিক নম্বর ও রোল নম্বর নেই। আবার বর্তমানে তিনি জাতীয় সংসদে হুইপের দায়িত্ব পালন করছেন। সেখানে তার শিক্ষাগত স্ট্যাটাস দেখিয়েছেন বি-কম পাশ। সব মিলিয়ে তার শিক্ষাগত সনদ নিয়ে আপত্তি রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আপিল করবেন কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখানে যেহেতু আপত্তি তোলা হয়েছে তাই কোনোভাবে আপিল না করার সুযোগ নেই। তবে এ ব্যাপারে আমার প্রার্থীর সঙ্গে আলাপ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শামসুল হক চৌধুরী ছেলে শারুন চৌধুরী বলেন, আমার বাবাকে কৌশলে বাদ দিতে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তবে অবশেষে আমাদের বৈধতা ঘোষণা করা হয়।
সোমবার এ আসনে (চট্টগ্রাম-১২) চার প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এক শতাংশ ভোটারের গরমিলের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইলিয়াস মিয়া ও গোলাম কিবরিয়া চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী এম এ মতিনের বিদুৎ বিল বাকি থাকায় এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন আয়কর না দেয়ায় মনোনয়ন বাতিল হয়।
এ ছাড়া, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী এম ইয়াকুব আলীর মনোনয়ন বিকেল ৩টা পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়। এর আগে সকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) এবং বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-৯ (মহানগর) আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। উল্লেখ্য, রোববার (৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের ৮ আসনে ৭৪ জনের মধ্যে ১৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।