তরমুজ কেজি দরে বিক্রি করা নিয়ে লঙ্কাকান্ডে পর এবার ইতিমতো হৈই-চৈই মৌসুমি ফল লিচু কেনা-বেচা কান্ডে। প্রায় মাসখানেক ধরে লিচু হাট-বাজার দেখা মিললেও পিচ হিসেবে শতকরা ধরে বিক্রি করতে আসছিল। আর সেই লিচুই এখন হাট-বাজারে ও বিভিন্ন স্থানে কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে নিম্ন আয় ও সাধারণ লোকজন চাহিদা মতো লিচু কিনতে পারছেন।
গতকাল (২৬ মে) বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী হাটে কেজি লিচু দরে চিত্র দেখা যায়। বিক্রেতা ১২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা কেজি দরে লিচু বিক্রি করছে। আবার কেউ কেউ পিচ হিসেবে লিচু বিক্রি করছেন ২০০ থেকে ২৫০ টাকায। তবে, পিচের তুলনায় দ্বিগুণহারে কেজি হিসেবে কিনছেন ক্রেতারা।
জানা যায়, দেশের উত্তর-দক্ষিণবঙ্গের দিনাজপুর, পাবনা, নাটোর, বগুড়া, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, নঁওগা ও চাপাইনবয়াবগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় গতবারের তুলনায় ব্যাপক পরিমাণে এ বছর লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে পাইকারি কিনে হাট-বাজারে পিচ ও কেজি দরে বিক্রি করছে।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থেকে গোবিন্দাসী হাটে আসা লিচু ব্যবসায়ী রহিম মন্ডল, রেজাউল করিম ও ইসমাইল হোসেন বলেন, শতকরা দরে দিনাজপুর থেকে লিচু কিনছেন। হাটে অনেকে পিচ হিসেবে কিনতে চান না দাম বেশি হওয়ায়। যার কারণে ক্রেতাদের কথা ভেবে আমরা কেজি দরে লিচু বিক্রি করছি। একটু লাভ কম হলেও বেশি বিক্রি করা যায়।
গোবিন্দাসী হাটে আসা পাবনার ঈশ্বরদী লিচু ব্যবসায়ী হাসান আলী, রতন আলী, কাদের ও রহিজ মিয়া বলেন, ঝাঁড়ের মধ্যে লিচু খসে পড়ে যায়। তখন পিচ হিসেবে কেউ নিতে চায় না। তাই কেজি হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে, লিচুর গুণগতমান হিসেবে দামের কম-বেশি আছে। কেজি হিসেবে বিক্রি করায় ক্রেতারা অনেকে এক থেকে ২/৩ কেজিও নিচ্ছেন।
এদিকে, উপজেলার পৌর শহর বাসস্ট্যান্ড ফলের দোকান, গোবিন্দাসী হাট, যমুনা সেতু (পাথাইলকান্দি বাজার), নিকরাইল বাজারসহ বিভিন্ন ফলের দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন ফলের চেয়ে বর্তমানের লিচুর পসরা সাজিয়ে রেখেছেন বেশি সংখ্যক ব্যবসায়ীরা। পিচের তুলনায় কেজি হিসেবে কিনছে বেশি। হাট-বাজারে লিচুর দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।
উপজেলার গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল লতিফ তালুকদার বলেন, তরমুজের পর লিচু মানুষের অন্যতম পছন্দের ফল। ছোট-বড় নানা বয়সী মানুষের কাছে প্রিয়। হাট-বাজারে লিচু আসার পর থেকেই বেশ চড়া দামেই ব্যবসায়ীরা পিচ হিসেবে বিক্রি করতো। কিন্তু কিছুদিন ধরে কেজি দরে বিক্রি করছে। ফলে অনেকেই চাহিদামতো কিনতে পারছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright © 2025 বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর. All rights reserved.