প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১০, ২০২৪, ২:০০ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ১৮, ২০২২, ৪:৫৫ অপরাহ্ণ
রাজনগরে পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়ে হামলার স্বীকার
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার মহাসহস্র গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে জহির মিয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।
এঘটনায় মোঃ কদর মিয়া বাদী হয়ে জহির মিয়া ও নজমুল মিয়া সহ অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে রাজনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং- ১৫)।
আহতরা হলেন কদর মিয়া, পিন্টু মিয়া, করিম মিয়া, সাদ মিয়া, সৈয়দ সুমন হোসেন ও শামিম বক্স।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহাসহস্র গ্রামের রশিদ মিয়া পারিবারিক সমস্যার কথা বলে বছর খানিক পূর্র্বে প্রতিবেশী কদর মিয়ার কাছ থেকে ২৪ হাজার টাকা দার নেন। পরবর্তীতে রশিদ মিয়াকে একাধিকবার পাওনা টাকা ফেরত দেয়ার কথা বললেও নানা অজুহাত দেখান। সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় উভয় পরিবারকে নিয়ে হারুন মিয়ার দোকানের সামনে সালিশ বসার কথা থাকলেও মামলার প্রধান অভিযুক্ত জহির মিয়ার বাধার মুখে সালিশ বৈঠক হয়নি। পরে রাত সাড়ে ৯টায় পাওনাদার কদর মিয়া বাড়ী ফেরার পথে উৎপেতে থাকা জহির মিয়া ও নজমুল মিয়া সহ ৭/৮ জন দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের এক পর্যায়ে মারধর করে। এ সময় পিন্টু মিয়া ঝগড়া থামানোর জন্য এগিয়ে আসলে থাকেও দা দিয়ে কুপ দেয় জহির মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শী করিম মিয়া এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা থাকে দা দিয়ে ডান হাতে কুপ দেয় এবং নাম নাজানা কয়েকজন লোহার পাইপ দিয়ে করিম মিয়ার বাম হাতে ও পায়ে এলোপাতারি আঘাত করতে থাকে। এসময় স্থানীয় সাদ মিয়া, সৈয়দ সুমন ও শামিম বক্স ঝগড়া থামাতে এলে জহির ও নজমুল এর সাথে থাকা ৭/৮ জন মিলে লাঠি সোটা ও লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাতারি আঘাত করে। তাদের হাল্লা চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রথমে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরন করেন। পিন্টু মিয়া ও সৈয়দ সুমনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
সালিশ ব্যক্তি ও প্রত্যক্ষদর্শী সৈয়দ জুয়েল জানান, আমরা সালিশের জন্য বসে ছিলাম কিন্তু জহির মিয়া সালিশ না মেনে রাগ দেখিয়ে চলে যান। কিছুক্ষণ পর হাল্লা চিৎকার শুনতে পাই। এগিয়ে দেখি জহির মিয়া ও নজমুল মিয়া দা দিয়ে এলোপাতারিভাবে কদর মিয়া সহ অন্যান্যদের আঘাত করছে।
এবিষয়ে রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright By MOHAMMAD ASIF