মৌলভীবাজারের অল্প বৃষ্টিতেই পৌর এলাকার রাস্তাঘাট,বাসা-বাড়িতে পানি উঠে তলিয়ে যায়। বিশেষ করে শহরের চৌমুহনী ও হবিগঞ্জ সড়ক, সাগরদিঘি সড়ক, ষ্টেশন রোড, উকিলবাড়ি সড়ক ও ভানুগাছ রোডসহ বেশ কয়েকটি সড়কের ড্রেন ডুবে গিয়ে রাস্তার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয় পানি। এতে দোকানপাঠে পানি উঠে ক্ষতির সম্মূখিন হন আনেক ব্যবসায়ী। দূর্ভোগে পড়েন জনগন।
এ ব্যপারে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল কাজী আব্দুল করিম জানান, বেশি বৃষ্টি হয়েছে তাই পানি উঠেছে। তবে ভানুগাছ সড়কে ড্রেন নির্মানের সময় ড্রেনে বাধঁদেওয়া হয়েছিলো। ভুলবসত বাধঁ অপসারণ করা হয়নি। তাই পানি জমাট সৃষ্টি হয়। এখন বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। পৌরসভার -৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীর এম এ সালাম জানান, ড্রেনের ভিতর প্লাস্টিক, বোতল এবং ফলের দোকানের ময়লায় ভরে গিয়েছিলো। তাই পানি কাটতে সময় লেগেছে। তাছাড়া হবিগঞ্জ সড়কের কদরআলী টাওয়ারের সামনে তাদের নিজস্ব একটি ¯েøপ ভেঙ্গে ড্রেনের পানি চলাচলের পথ বন্ধ ছিলো। শনিবার এটি অপসারণ করা হয়েছে।
এদিকে সরজমিনে দেখা যায়, ময়লায় পরিপূর্ণ ড্রেন গুলো। যার বেশিরভাগই শহরের ফলের দোকানের বর্জ। যে কারনে পানি উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠে। কম্পিউটার থেকে শুরু করে অনেক মুল্যবান জিনিশপত্র নষ্ট হয় ব্যবসায়ীদের। চা ব্যবসায়ী নিরেশ দাশ বলেন, তার দোকানে দুই আড়াইফুট পানি উঠেছে। অনেক কিছু ভিজে নষ্ট হয়েগেছে। ওই দিনের জন্য তার ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
এ ব্যপারে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মহসীন মিয়া মধু বলেন, শহরের সৌন্দর্যের জন্য অনেক উঁচু করে ড্রেন নির্মান করে উপরে টাইল্স করা ফুটপাত করে দিয়েছি। কিন্তু মানুষ সেই ড্রেনেই ময়লা ফেলেন। টাকা খরচ করে সেই ময়লা আবার উঠাতে হয়। এতে জনগণের টাকাই নষ্ট হচ্ছে। কারণ পৌরসভার সম্পদ জনগণের। তিনি বলেন, সবাই সহযোগীতা না করলে শহর সুন্দর রাখা সম্ভব নয়। তাছাড়া মৌলভীবাজার সড়কে ১নংপুলের পাশে পাহাড়ী ছড়াটি ভরে গেছে। যে কারনে পানি কম কাটে। এটি খনন বা দখল মুক্ত করা অধিকার তাদের নেই। এটি উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে।
এদিকে শহরের হবিগঞ্জ সড়কের পানি দ্রæত নিস্কাসনের বিষয়ে শহরবাসীরা অভিমত প্রকাশ করেন সড়কের উত্তর পাশের ড্রেনের মতো দক্ষিন পাশের ডেন আরো উঁচু করতে হবে এবং শহরের ফল ব্যবসায়ীদের শর্তক করতে হবে। তারা বলেন, শুক্রবার বৃষ্টির পর পর পৌরসভার লোক যদি ওই ড্রেনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়িয়ে দিতেন তাহলে মানুষের ভুগান্তি আরো কম হতো।
শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৭ কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নতুন প্রকল্প জমা দেয়া আছে। পুরো কাজ হয়ে গেলে এ সমস্যা আর থাকবে না।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright By MOHAMMAD ASIF