নড়াইল পৌর মেয়রের দায়ের করা মামলার ঘটনায় পৌর পরিষদ ও ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৩টায় পৌর ভবনের সম্মেলন কক্ষে নড়াইল পৌর মেয়র আনজুমান আরা এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন। এর পূর্বে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নড়াইল প্রেসক্লাবের সামনে নড়াইল-যশোর সড়কে অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগের নেতাদের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ ঘটনায় শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নড়াইল পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনজুমান আরা সংবাদ সম্মেলনে বলেন,সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নামধারী কয়েক সন্ত্রাসী মঙ্গলবার (২৬এপ্রিল) দুপুরে আমার সাথে পৌর ভবনের নিজ কক্ষে অশালীন আচরণ ও হুমকি-ধমকি প্রদর্শনের পর থানায় মামলা এবং স্মারকলিপি প্রদান করা হলেও পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি। উল্টো সন্ত্রাসারীরা মানববন্ধন করেছে। তিনি সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। এই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের যদি দমন করা না যায় তাহলে নড়াইল পৌরসভার সাধারণ মানুষ বিভিন্নভাবে নিগৃহীত হবে বলে মন্তব্য করেন। পবিত্র ও রমজানের কারনে তিনি কঠোর আন্দোলন থেকে সাময়িক বিরত রয়েছেন বলে জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল মেয়র-১ কাজী জহিরুল হক, প্যানেল মেয়র-২ রেজাউল বিশ্বাস, কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটু, ইপি রাণী বিশ্বাস, আহসান হাবিব প্রমুখ।
এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দের ব্যনারে মানববন্ধনে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিঠুন বিশ্বাস, জেলা ছাত্রলীগের স্কুল বিষয়ক সম্পাদক আলামিন মোল্যা, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুজন মোল্যা ও যুবলীগ কর্মী এস.এম ফয়সাল সাদি।
প্রসঙ্গত,মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নড়াইল পৌর মেয়র আনজুমান আরা প্যানেল মেয়র কাজী জহিরুল হকের সাথে পৌর ভবনের নিজ কক্ষে কথা বলছিলেন। এ সময় ওই কক্ষে অবস্থান করা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিলয় রায় বাঁধন, নড়াইল পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি উচ্ছাস আলোম ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফাইনুল ইসলাম শাওন উচ্চ স্বরে বলতে থাকে মেয়র নাকি পৌরসভার হাটবাজার, বাস টার্মিনালের খাজনা ও টোলের টেন্ডার থেকে ঠিকাদারদের কাছ থেকে ৫০% টাকা দাবি করেছেন। এক পর্যায়ে তারা অশালীন ভাষায় গালাগাল ও হুমকি-ধমকি দেয়। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর মেয়রের কক্ষে পৌর পরিষদের এক সভায় এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয় এবং ওনদিন রাতে পৌর মেয়র বাদি হয়ে দোষিদের বিচার দাবি করে বাঁধন, উচ্ছ্বাস ও শাওনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা ও পরদিন বুধবার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।
নড়াইল সদর থানার ওসি শওকত কবির বলেন, আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মেয়রের মামলা এবং ছাত্রলীগের এক পক্ষের মানববন্ধনে শহরে কিছুটা উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি সম্পর্কে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright By MOHAMMAD ASIF