আগের ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করেছেন নেইমার এবং এমবাপে- দু’জনই। আবারও গোল করলেন দু’জন। নেইমার-এমবাপের গোলে গতকাল (১৭ এপ্রিল) রবিবার রাতে মার্শেইকে ২-১ গোলে হারিয়েছে পিএসজি।
দুই ম্যাচ আগে লরিয়েন্তের বিপক্ষে একসঙ্গে গোল করেছিলেন পিএসজির সেরা তিন ফুটবলার মেসি, নেইমার এবং এমবাপে। পরের ম্যাচে জোড়া হ্যাটট্রিক করেছেন ক্লারমন ফুটের বিপক্ষে। আবার হ্যাটট্রিক অ্যাসিস্ট ছিল মেসির।
বোঝাই যাচ্ছে, ধীরে ধীরে মেসি-নেইমার-এমবাপে ত্রিফলার রসায়নটা বেশ জমে উঠেছে। যে কারণে তারা বেশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে প্রতিপক্ষের জন্যও। মার্শেইয়ের বিপক্ষে এই যুগল জ্বলে না উঠলে হয়তো জয় পেতেই কষ্ট হতো পিএসজির।
এই জয়ে ১০ম ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের শিরোপার দিকে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলছে পিএসজি। ৩২ ম্যাচে তাদের অর্জন ৭৪ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মার্শেইয়ের পয়েন্ট ৫৯। অর্থ্যাৎ দুই দলের সঙ্গে ১৫ পয়েন্টের ব্যবধান।
শুরুতেই গোল করেন নেইমার। ম্যাচের ১২তম মিনিটে গোলের সুচনা করেন নেইমার। মাঝমাঠের কাছাকাছি থেকে মার্কো ভেরাত্তির লম্বা পাস ডি-বক্সে প্রথম স্পর্শে চিপ শটে জালে পাঠান নেইমার। এ নিয়ে শেষ তিন ম্যাচে নেইমারের গোল ৬টি।
৩১তম মিনিটে সমতায় ফেরে মার্সেই। কর্নার কিককে সামনে ঝাঁপিয়ে পাঞ্চ করার চেষ্টায় ক্লিয়ার করতে পারেননি জিয়ানলুইজি ডোনারুমা। জটলার মধ্যে বল ক্লিয়ার করতে পারেননি ডিফেন্ডাররাও। খুব কাছ থেকে বল পেয়ে সেটিকে জালে পাঠান ক্রোয়াট ডিফেন্ডার ডুজে কালেতা কার।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে নেইমারের শট ডি-বক্সে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের হাতে লাগলে পেনাল্টির জোরাল আবেদন করেন পিএসজি খেলোয়াড়রা, কিন্তু তখন রেফারির সাড়া মেলেনি। পরক্ষণে মেসি আবার জালে বল পাঠালেও অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান।
তবে ভিএআরের সাহায্যে আগের ঘটনার জন্য পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট-কিকে দলকে আবার এগিয়ে নেন কিলিয়ান এমবাপে।
এর আগে ১৮তম মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন এমবাপে। দানিলো পেরেইরার থ্রু বল ধরে ওয়ান-অন-ওয়ানে পোস্টের বাইরে মারেন তিনি। যদিও অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। একটু পর ডি-বক্সের সামনে থেকে লিওনেল মেসির ফ্রি-কিক উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
৩৩তম মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে নেইমারের বুলেট গতির ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মার্সেই গোলরক্ষক। একটু পর ডি-বক্সে নেইমারের পাসে এমবাপের ভলি চলে যা পোস্টের বাইরে।
৪১তম মিনিটে মেসি জালে বল পাঠালেও গোল মেলেনি। তাকে পাস দেওয়া নুনো মেন্দেস আক্রমণের শুরুতেই অফসাইডে ছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright By MOHAMMAD ASIF