মা নার্গিস বেগম দর্জির কাজ করেন। নুসরাতের মা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের কাছ থেকে কাপড় বানানোর জন্য কাপড় আনতেন আর কাপড় সেলাই করে টাকা উপার্জন করে তার পড়াশোনার খরচ যোগাতো।
নুসরাত জাহান ইমা টাঙ্গাইল বাসাইল উপজেলার বাথূলী সাদী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আবেদা খানম গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন এ বছর।
নুসরাত জাহান বলেন, ‘মা দর্জির কাজ করে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কাপড় এনে সেলাই মেশিনে কাজ করে। বাবা নেই, আমার মাই সবকিছু। আশা করি এখন মায়ের কষ্ট দূর করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, ‘নিজেকে পুলিশের একজন সদস্য হিসেবে ভাবতে পেরে শান্তি লাগছে। ১২০ টাকা দিয়ে পুলিশে আবেদন করেছিলাম, বাকি কোনো টাকা লাগেনি, তাই সবাইকে বলবো নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী এখনো চাকরি পাওয়া যায়। পুলিশে চাকরি করে দেশের সেবা করতে চাই।
নুসরাত জাহান ইমার মা নার্গিস বেগম বলেন, ‘মেয়ের চাকরি হয়েছে শুনেই মনে হচ্ছে আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পেরেছি। মেয়ে পুলিশে চাকরি পেয়েছে, অনেক আনন্দ লাগছে।
টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘এ বছর টাঙ্গাইল জেলা থেকে ১০০ জন পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে নারী ১৩ জন ও পুরুষ ৮৭ জন। প্রাথমিকভাবে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল ২২৫ জন। এর মধ্যে ১০০ জনকে ভাইবা পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার তাদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল টেস্ট করে পরবর্তীতে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে চূড়ান্ত মেডিকেল টেস্ট করিয়ে ট্রেনিংয়ের জন্য পাঠানো হবে।
ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিয়োগ বোর্ডের সদস্য গাজিপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সানোয়ার হোসেন, ঢাকা রেঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার সাজিদুর রহমান, টাঙ্গাইল জেলার সহকারী পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন আহমেদ,ডি আই ওয়ান হারেজ মিয়াসহ পুলিশ ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্যরা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright By MOHAMMAD ASIF