দীর্ঘদিন পর বল হাতে জ্বলে উঠলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। যেন ফিরে গেলেন তার সেই সোনালি সময়ে। যে সময়টায় তিনি নিয়মিতই বল হাতে আগুন ঝরাতেন।এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এর আগে এক ম্যাচে, আবাহনীর বিপক্ষে আগুন ঝরিয়েছিলেন মাশরাফি। এবার আবারও জ্বলে উঠলেন।
আজ (৬ এপ্রিল) বুধবার মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাশরাফির বোলিং তোপে উড়ে গেছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি।তবে, মাশরাফির দল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে জিততে রীতিমত ঘাম ঝরাতে হয়েছে। মাত্র ২ উইকেটের ব্যবধানে শ্বাসরূদ্ধকর জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে মাশরাফি অ্যান্ড কোং।
টস জিতে খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতিকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান রূপগঞ্জের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুহজা। ব্যাট করতে নেমে মাশরাফির বোলিং তোপে মাত্র ১৯৮ রানে অলআউট হয়ে যায় সমাজকল্যাণ সমিতি। ৮ ওভার বল করে ৩৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন মাশরাফি।
জবাব দিতে নেমে ৪৯.৩ ওভারে, মাত্র ৩ বল হাতে রেখে ৮ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। বিধ্বংসী বোলিং করার কারণে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর শুরুতেই উপুল থারাঙ্গার উইকেট হারায় খেলাঘর। মাত্র ৩ রান করে আউট হন লঙ্কান জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার। হাসানুজ্জামান করেন ২৯ রান। অমিত মজুমদারই যা একটু লড়াই করলেন। ৮৮ বল খেলে তিনি করেন ৫৯ রান।
এছাড়া নাদিফ চৌধুরী ২৫, মাসুম ২৪ এবং ইফতিখার সাজ্জাদ করেন ১৪ রান। মাশরাফির ৪ উইকেট ছাড়াও ৯ ওভারে ৫১ রান দিয়ে চিরাগ জানি নেন ৩ উইকেট। নাবিল সামাদ, আল আমি হোসেন এবং নাঈম ইসলাম নেন ১টি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে শুরুতে ইরফান শুক্কুর এবং সাব্বির হোসেনের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে রূপগঞ্জ। এরপরই জ্বলে ওঠেন ভারতীয় রিক্রুট চিরাগ জানি। ৭৮ বলে ৭২ রান করে রূপগঞ্জের জয়ে অন্যতম অবদান রাখেন তিনি। ৭টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কার মার মারেন চিরাগ।
নাঈম ইসলাম করেন ২৪ রান। ১৪ রান করেন রাকিবুল ইসলাম, সাব্বির রহমান রুম্মন করেন ২ রান। তানবির হায়দার অপরাজিত থাকেন ৫১ রান করে। ৬১ বলে তিনি ২টি বাউন্ডারির মার মারেন। ১২ রান করেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
খেলাঘরের হয়ে সালমান হোসেন ৯ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। মাসুম খান নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন টিপু সুলতান, ইলিয়াস সানি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright By MOHAMMAD ASIF