প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ৯, ২০২৪, ১০:৫৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২, ২০২২, ৪:২৯ অপরাহ্ণ
রামাদানের গুরুত্ব
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি হচ্ছে রমজান মাসের রোজা। সূরা বাকার ১৮৫ নং আয়াতের দ্বারা দ্বিতীয় হিজরীতে রোজা উম্মতের উপর ফরজ করা হয়েছে।
রমজানের রোজা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, আবার এর প্রতিপালনের উপর অনেক বড় পুরস্কারেরও ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন: আল্লাহ্ তাআলা বলেন: রোজা আমারই জন্য। আমি নিজে এর প্রতিদান দেব। আমার বান্দা আমার জন্য পানাহার ছেড়ে দেয়, কামনা-বাসনা ছেড়ে দেয়।
রোজাদারের জন্য দু’টি খুশি। একটি খুশি ইফতারের সময়। আরেকটি খুশি আমার সঙ্গে তার সাক্ষাতের সময়। রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের সুগন্ধের চেয়েও উত্তম। (বুখারি : ৭৪৯২)
যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে একদিন রোজা রাখবে আল্লাহ তাআলা তার ও জাহান্নামের মাঝে একটি পরিখা তৈরি করে দেন। যা আকাশ ও জমিনের দূরত্বের মতো। (তিরমিজি : ১৬২৪)
জান্নাতে একটি ফটক আছে। তার নাম রাইয়্যান। কেয়ামতের দিন রোজাদারগণ সেই ফটক দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে। অন্য কেউ সেই ফটক দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে: রোজাদারগণ কোথায়? তখন তারা উঠবে। তারা ছাড়া অন্য কেউ যাবে না। যখন তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে তখন রাইয়্যান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হবে। সুতরাং আর কেউ এ ফটক দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। (বুখারি : ১৮৯৬)
এই রমাদান হোক আত্মশুদ্ধির মাস, আত্মসংযমের মাস। আমরা সবাই ইফতার এবং সেহরির খাবারের ছবি পোস্ট করা থেকে বিরত থাকি। বিলাসী খাবার দেখে অন্য কেউ যেন কষ্ট না পায়।
আল্লাহ তাআলা আমাদের রোজার ফজিলত ও ছওয়াবগুলো লাভের জন্য রোজার সব আদব ও নিয়ম রক্ষার তৌফিক দান করুন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright By MOHAMMAD ASIF