পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করেছে। হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। এ উপলক্ষে দূতালয় প্রাঙ্গন ব্যানার ও পোস্টারে সজ্জিত করা হয়। অনুষ্ঠানে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী কালোব্যাজ ধারণ করেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানের আলোচনা পর্ব শুরু হয়। আলোচনা পর্বের শুরুতে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। ২৫ মার্চ কালরাতে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে হানাদার বাহিনীর হাতে যারা শহিদ হয়েছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে নিরীহ, নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালির ওপর বিনা প্ররোচনায় অতর্কিত ও বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য পাকিস্তান দখলদার বাহিনীর তীব্র নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, এই গণহত্যা দিবস আমাদের জন্য একই সঙ্গে বেদনাদায়ক ও কষ্টের। ২৫ মার্চের এ হত্যাকাণ্ড গণহত্যার সব বৈশিষ্ট্য পূরণ করে। তাই একে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা যথাযথ হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আলোচনা শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের এবং ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালের কালোরাতে শাহাদাতবরণকারীদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত শেষে দূতাবাসের সব বাতি নিভিয়ে এক মিনিটের জন্য ‘ব্ল্যাক আউট’ করা হয়।
এরপর ২৫ মার্চ কালরাতে শাহাদাতবরণকারীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright By MOHAMMAD ASIF