বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস.এম. নসরুল কদির।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করলেও বিভিন্ন সময়ে দেশের জনগণের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়েও মানুষ এখনো গণতান্ত্রিক অধিকার, বাক-স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তাদের রাষ্ট্রীয় সংস্কারের বিষয়ে অধিক মনোযোগী হতে হবে। এ লক্ষ্যে মানবাধিকার সংগঠনসহ দেশি-বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমুখী কার্যক্রম জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আমির হোসেন খাঁন। উদ্বোধনী বক্তব্যে সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি সৈয়দ মোস্তফা আলম বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে কোথাও চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও মিথ্যা মামলার মাধ্যমে জনগণকে হয়রানি করা যাবে না। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইএইচআরসিজি’র নির্বাহী পরিচালক নুরুল আবসার তৌহিদ বলেন, মানবাধিকার সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে দেশের প্রতিটি জেলায় সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বগঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আইএইচআরসিজি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, নারী নেত্রী নাহিদা আক্তার নাজু ও চম্পা রানী নন্দী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দীন আহমদ, নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা তাহেরা শারমীন, নির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, মোঃ আব্দুর রহিম, আফরোজা বেগম জলি, মোঃ আলমগীর, মোঃ ইউনুচ তালুকদার, চৌধুরী ওহাব, ডা. জামাল উদ্দিনসহ বিপুল সংখ্যক সংগঠনের কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠান শেষে ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে কেক কাটা হয় এবং সংগঠনের বিগত কার্যক্রমের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।