চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) আকবরশাহ থানা এলাকায় স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান সামগ্রী চুরির ঘটনায় মামলা রুজুর ১২ ঘণ্টার কম সময়ে তিন চোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার, একটি মোবাইল ফোন ও রুপার নুপুর।
জানা যায়, বাদী আবুল কালাম আজাদ (৩৯) পেশায় শাহী বাস কাউন্টারের কর্মচারী এবং তিনি বিশ্ব কলোনী ডি-ব্লকের একটি বাসায় পরিবারসহ বসবাস করেন। গত ২৭ নভেম্বর সকাল ১০টায় কর্মস্থলে যাওয়ার পর তার স্ত্রী শাহনাজ আক্তার মুন্নী বড় মেয়েকে কোচিংয়ে পৌঁছে দিতে বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে বাসায় তালা দিয়ে বের হন।
বিকেল ৪টায় ফিরে এসে দেখতে পান, বাসার দরজার ছিটকিনি কাটা এবং আলমারী ভাঙা। সেখান থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা, একটি মোবাইল ফোন, মোট তিন ভরি ১৪ আনা ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার, একটি রুপার নুপুরসহ প্রায় ৭ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়ে গেছে।
এ ঘটনায় বাদী আকবরশাহ থানায় মামলা (নং-০৭, তারিখ ০৫-১২-২০২৫; ধারা ৪৫৪/৩৮০ পেনাল কোড) দায়ের করেন। মামলা রুজুর পরপরই আকবরশাহ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই সাজ্জাদ, এসআই ইলিয়াছ মাদবর, এসআই রিমন ঘোষ, এএসআই জসিমসহ একটি বিশেষ আভিযানিক দল মাঠে নামে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ বিভিন্ন দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালে ৬ ডিসেম্বর রাত ২টা ৩০ মিনিটে হারবাতলী জয়ন্তিকা আবাসিক এলাকার মঞ্জুর বাড়ি থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হল— ১) মোঃ জুয়েল (৩২) ২) মোঃ হৃদয় (২১) ৩) মোঃ শরীফ (২৮)
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা চুরির দায় স্বীকার করে। আসামী জুয়েলের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১ ভরি ১০ আনা ওজনের স্বর্ণের নেকলেস, ৯ আনার স্বর্ণের চেইন, ২ আনার কানের দুল, ৪ আনার ৪টি স্বর্ণের আংটি—মোট ২ ভরি ৯ আনা স্বর্ণ। আসামী হৃদয়ের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয় চুরি হওয়া মোবাইল ফোন ও রুপার নুপুর। এদিকে শরীফ স্বীকার করে যে সে চুরির সময় অন্য দুই আসামীকে সহযোগিতা করেছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আকবরশাহ থানা পুলিশ।
সিএমপি সূত্র জানায়, এলাকার আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে ভবিষ্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright © 2025 বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর. All rights reserved.