মহামান্য হাইকোর্টের রায় অমান্য করে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলাধীন যাদুকাটা নদী থেকে পরিবেশ বিধ্বংসী ড্রেজার মেশিন ও শেইভ মেশিন দিয়ে বালু খেকো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে যাদুকাটা নদীর পাড় কেটে বালু পাথর লুটপাট করতেছেন সুনামগঞ্জের ডিসি ইলিয়াস মিয়া, তাহিরপুর উপজেলার ইউএনও মেহেদী হাসান মানিক ও এসিল্যান্ড শাহরুখ আলম শান্তনু। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বালু খেকো সিন্ডিকেটের একজন বলেন প্রতিদিন ও রাতে ডিসি, ইউএনও, এসিল্যান্ড ৩০ লক্ষ টাকা প্যাকেজ প্যাকেজ নেয় এবং লোকাল প্রশাসনকেও ম্যানেজ করতে হয়।
যাদুকাটা নদীর পাড়ে সড়ক, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, ব্যারেজ, শাহ আরেফিন সেতু, শ্রী অদ্বৈত মন্দির, লাউড়ের বিজিবি ক্যাম্প, বিন্নাকুলী বাজার ও মসজিদ, চিলাবাজার, পর্যটন স্পট ঐতিহ্যবাহী শিমুল বাগান, বারেক টিলা এবং জনবসতি আদর্শ গ্রাম, ঘাগটিয়া, গড়কাটি, মাহরাম গ্রামের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক ইলিয়াস মিয়ার সার্বিক সহযোগিতায় বালুখেকো সিন্ডিকেটের প্রধান ফ্যাসিস্ট শাহ রুবেল আহমেদের নেতৃত্বে ড্রেজার মেশিন ও শেইভ মেশিন দিয়ে যাদুকাটা নদীর ভূ প্রাকৃতিক পরিবেশ, জীব বৈচিত্র ধ্বংস করে প্রতিদিন আনুমানিক ২০ কোটি টাকার খনিজ বালু ও পাথর লুটপাট হচ্ছে। এতে করে যাদুকাটা নদীর পাড়ের গ্রামের বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নিয়ে হুমকির সম্মুখীনে জীবনবাজি রেখে সময় পার করতেছে।
মহামান্য হাইকোর্টের রায় অমান্য করার কারণে রীটকারী জনাব খোরশেদ আলম ডিসি ইলিয়াস, তাহিরপুর উপজেলার ইউএনও মেহেদী হাসান মানিক ও এসিল্যান্ড শাহরুখ আলম শান্তনুর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন। কনটেম্প মামলা নং-৫০০/২৫। আদালতের রায় লঙ্ঘন করে বালু লুটপাটে জড়িত থাকায় সুনামগঞ্জের ডিসি কে শোকজ করেন আদালত। আদেশের তথ্য অবগত হওয়ার পরও আজকে আবার ড্রেজার মেশিন ও শেইভ মেশিন দিয়ে বালু লুটপাট অব্যাহত রেখেছেন।
৫ই আগষ্টের পর থেকে ডিসি ইলিয়াসের নেতৃত্বে এই যাদুকাটা নদীর পাড় কাটিয়া প্রায় ১০০০ কোটি টাকার বালু লুটপাট হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার পরও বহাল তবিয়তে সুনামগঞ্জের ডিসি।
পরিবেশবাদী সংগঠননের কেন্দ্রীয় নেতা উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা বলেন শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার প্রেতাত্মারা এখনোও প্রশাসনের বড় চেয়ার দখল করে আছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে এত শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করে সুনামগঞ্জের ডিসি কিভাবে ফ্যাসিস্টদের পুনঃবাসন করে। তাছাড়া এত বড় সাহস কোথায় পায় আদালতের আদেশ অমান্য করার। সুনামগঞ্জের ডিসি, তাহিরপুরের ইউএনও, এসিল্যান্ড কে চাকরি থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রিট কারী খোরশেদ আলম বলেন সুনামগঞ্জের ডিসি আওয়ামী লীগের দোসর। ডিবি হারুনর ঘনিষ্ঠজন বৈষম্য বিরোধী হত্যা মামলার আসামী শাহ রুবেল কে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ডিসির চেম্বারে মিটিং করে। ১০০০ কোটি টাকার খনিজ বালু ও পাথর লুটপাটের সুযোগ দিয়ে সে নিজেও হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। যাদুকাটা নদীতে প্রতিদিন শত শত শেইভ মেশিন চলে আর এসিল্যান্ড দিনের কোন একটা সময় শাহ রুবেল ক্লিয়ারেন্স দিলে অভিযানে যায়। সাজানো গোছানো অভিযানে গিয়ে ১/২ টা শেইভ মেশিন জব্দ করে নাটক শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে। ডিসি ইলিয়াস মিয়া ও তার অধিনস্থ ইউএনও, এসিল্যান্ডর ব্যক্তিগত স্বার্থ না থাকলে হাইকোর্টের রায় অমান্য করার কথা নয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright © 2025 বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর. All rights reserved.