মোঃ রেজাউল হক রহমত, ব্রাক্ষণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
১৪ নভেম্বর শুক্রবার ব্রাক্ষণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলা শিবপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর পূর্ব পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, উর্বর জমিতে ড্রেজার দিয়ে গভীর গর্ত তৈরি করে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে এবং সেই মাটি অন্যান্য এলাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। কৃষকদের অভিযোগ, আবেদ আলীর প্রভাবের কারণে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। তারা বলেন, “আমাদের জমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। প্রয়োজনে আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে যাবো।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, আবেদ আলী বছরজুড়ে বিভিন্নভাবে প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে জমি কাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে একটি জমি ৪০ থেকে ৫০ ফুট গভীর করে কেটে ফেলা হয়, ফলে পাশের জমিও ধসে পড়ে। পরে জমির মালিকেরা বাধ্য হয়ে কম দামে জমি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন।
কৃষকদের মতে, এভাবে ফসলি জমি কেটে বিক্রি হওয়ায় কৃষিজমি কমে যাচ্ছে, খাদ্য উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব। নিচু জায়গা ও জলাধার ভরাটের কারণে বর্ষায় জলাবদ্ধতা, রাস্তা তলিয়ে যাওয়া—এসব সমস্যাও বাড়ছে। তাদের অভিযোগ, প্রভাবশালী মহলের সম্পৃক্ততার কারণে এ ধরনের অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
অভিযোগের বিষয়ে ড্রেজার মালিক আবেদ আলীর দাবি, তিনি নাকি সরকারি অনুমোদন নিয়ে মাঠ ভরাট করছেন। তবে অনুমোদনের লিখিত কাগজপত্র চাওয়া হলে তিনি জানান—জুম্মার নামাজের পর ইউএনও এসে বিষয়টি দেখবেন।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরী বলেন, “ফসলি জমি ধ্বংসকারীদের কোনো ছাড় নেই। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” আবেদ আলীর সরকারি কাজের দাবির বিষয়ে তিনি আরও জানান, এ ধরনের কোনো অনুমোদনের বিষয়ে তিনি অবগত নন এবং প্রয়োজন হলে কাগজপত্র যাচাই করে দেখার পরামর্শ দেন।
স্থানীয়দের আশঙ্কা, এভাবে ত্রি-ফসলি জমি উজাড় করে মাটি বিক্রি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা ও পরিবেশ দুটিই মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। তারা দ্রুত প্রশাসনের কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ আশা করছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright © 2025 বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর. All rights reserved.