রাজশাহী জেলা :
রাজশাহীর পুঠিয়ায় পুলিশ পরিচয়ে এক নারীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাতদের ৭ থেকে ৮ জনের একটি দল বাড়ির দরজায় এসে ডাকাডাকি করে তখন পরিচয় জানতে চাইলে ডাকাতেরা নিজেদের পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে ভেতরে ঢোকেন।
পরে ছয় বছরের শিশুকে জিম্মি ও নারীকে ছুরি আঘাত করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যান। ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম মোছাঃ হাসিনা। তিনি সৈয়দপুর গ্রামের আক্কাসের স্ত্রী।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ভুক্তভোগী ওই নারি বলেন, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম গভীর রাতে ৭ থেকে ৮ জন বাড়ির দরজায় ডাকাডাকি করে। তখন তাঁদের পরিচয় জানতে চাইলে বলা হয়, পুলিশের লোক। পরে ভেতরে ঢুকে ৬ বছর বয়সী মেয়ের জিম্মি করে বাক্সের তালা খুলতে বলে আমি খুলে দিলে আমার ছেলের বউয়ের স্বর্ণের গয়না ও টাকা পয়সা নিয়ে নাই আমি বাধা দিতে গেলে আমার চুল ধরে কোব দেয় যার ফলে চুল কেটে মাটিতে পড়ে যায় এবং আমার বাম হাতের বাহু খানিকটা কেটে রক্ত ঝরতে থাকে সে সময় আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন তাদের মধ্যে আমি তিনজনকে চিনতে পেরেছি। তাদের সাথে আমাদের পূর্বের জমি জমা নিয়ে শত্রুতা ছিল তাদের করা মামলাতে আমার বাড়ির দুই ছেলে জেল হাজতে আছে এবং একজন পলাতক এই সুযোগে তারা রাতে আমার বাড়িটা ঢুকে এই অপকর্ম করে।ঘটনার প্রখ্যাতদর্শী সাজদুল বলেন, ‘আমার বাড়ি এখানেই আমি দেখেছি সেদিন রাতে জুয়েল ভাইয়ের পরিবারের পাঁচজন ছিল, তাদের হাতে হাসুয়া ছিল, আমি ভয় বাধা দেই নাই।’
এ বিষয় প্রতিবেশী রাকিবা জেসমিন বলেন হাসিনার চিল্লাচিল্লি শুনে আমি সর্বপ্রথম গিয়ে দেখি প্রচণ্ড কান্নাকাটি করছিল ভয়ে কথা বলার অবস্থায় ছিল না তার ঘরের মধ্যে সবকিছুই লণ্ডভণ্ড ছিল, তার হাতে রক্ত ঝরছিল, তার কাছে জানতে পারলাম কিছু লোক পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঘরে ঢুকে এসব করেছে। আমরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি, সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশকে জানাই কিন্তু দুই দিন হয়ে গেছে পুলিশ আসতে দেখে নাই।
জামাল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বলেন: গভীর রাতে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আমি গিয়েছিলাম, এই ঘটনাটি আমার কাছে মনে হচ্ছ পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই পরিকল্পিতভাবে তাদের শত্রু পক্ষ ঘটিয়েছে।
প্রতিবেশী মনসুর রহমান মানিক বলেন: এটা সরাসরি ডাকাতি হয়েছে, আমরা চিৎকার শুনতে পেয়ে গিয়ে দেখি ওই মহিলার অবস্থা খুবই নাজেহাল পাঁচ বছরের শিশু ও কান্নাকাটি করছিল, আমরা দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করি এবং ৯৯৯ ফোন দিই তারা আমাদের ঠিকানা নিয়েছে কিন্তু তখন পুলিশ আসে নাই। তিনদিন পরে আজকে পুলিশ এসেছিল।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর ভাই মোঃ লিটন তিনজনের নাম উল্লেখ অজ্ঞাত আরো ৩-৪ জনকে আসামি করে ঘটনার দুই দিন পর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে না পাওয়াই বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
পুঠিয়া থানার (ওসি) কবির হোসেন বলেন, সৈয়দপুরের বিষয়ে থানায় একটি মামলার কার্যক্রম চলছে। এছাড়াও সরকারি জরুরী সেবার নাম্বার ৯৯৯ ফোন করে উদ্ধারের করেনি পুঠিয়া থানা পুলিশ এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright © 2025 বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর. All rights reserved.