জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ভাষণ চলাকালীন বহু দেশের কূটনীতিকরা সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। ফিলিস্তিনে চলমান হামলা ও গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে এই ‘ওয়াক আউট’ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে নেতানিয়াহু মঞ্চে বক্তব্য শুরু করলে একে একে বিভিন্ন আরব, আফ্রিকান ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর প্রতিনিধি তাদের আসন ফাঁকা করে বেরিয়ে যান। এ সময় তারা ফিলিস্তিনের পতাকা প্রদর্শন করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ওয়াক আউটে অংশ নেওয়া দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, আলজেরিয়া, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, কলম্বিয়া, কিউবা প্রভৃতি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি ছিলেন। তাদের সঙ্গে আরও কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের কূটনীতিকও একাত্মতা প্রকাশ করেন।
প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, গাজায় হাজার হাজার সাধারণ মানুষ হত্যার পরও নেতানিয়াহু বিশ্ববাসীর সামনে মিথ্যাচার ও আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত একজন নেতা জাতিসংঘ মঞ্চ ব্যবহার করছেন—এটি সভ্যতার জন্য অপমানজনক বলে মন্তব্য করেন তারা।
অন্যদিকে, নেতানিয়াহু তার ভাষণে দাবি করেন, ইসরায়েলের সামরিক অভিযান কেবল “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই।” তিনি হামাসকে ধ্বংস করার প্রয়াস অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। তবে তার বক্তব্যের সময় সভাকক্ষে অর্ধেকের বেশি আসন ফাঁকা হয়ে যায়।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী প্রতিনিধি রিয়াদ মানসুর বলেন, “বিশ্ব নেতারা ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ বার্তা দিয়েছেন। এই ওয়াক আউট দেখিয়েছে, মানবতার বিপক্ষে দাঁড়ালে কেউ আন্তর্জাতিক সমাজের সমর্থন পায় না।”
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে এমন প্রকাশ্য বয়কট ইসরায়েলের ওপর কূটনৈতিক চাপ আরও বাড়িয়ে দেবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright © 2025 বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর. All rights reserved.