মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজার শহরের শমশেরনগর রোডের এক ব্যবসায়ী নিজ প্রতিষ্টানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যবসায়ীর নাম শাহ ফয়েজুল রহমান রুবেল। তিনি সেন্টাল রোডের এফআর ট্রেনিং নামের প্রতিষ্টানের স্বত্বাধিকারী।বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিজ প্রতিষ্টানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। নিহত রুবেল আহমদের বাড়ী জেলার কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে। তিনি মৌলভীবাজার শমশেরনগর রোডে ‘সদাইপাতিতে হার্ডওয়্যার ব্যবসা করতেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার কিছু পর রুবেল তার দোকানে কাজ করছিলেন। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত দোকানে ঢুকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তার আর্তচিৎকার শুনে পাশের দোকানদার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী অটোরিকশাচালক বলেন, ‘আমরা রুবেল ভাইয়ের দোকানের পাশে মাতৃছায়া ইলেকট্রনিকসের সামনে বসে ছিলাম। হঠাৎ তাকে ‘বাঁচাও’ বলতে শুনে দৌড়ে যাই এবং তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পাই। এ সময় আমরা তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই।
চিকিৎসকরা তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানালে রুবেলকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ (সিওমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে সেখানে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রুবেলের শ্যালক ইমন তরফদার বলেন, দুলাভাই দীর্ঘদিন ধরে শহরে ব্যবসা করছেন। কারও সঙ্গে পূর্বশত্রুতা থাকতেই পারে। আমরা ধারণা করছি, সেই শত্রুতার জেরেই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজী মাহবুবুর রহমান জানান, হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর থেকেই আমরা তদন্তে নেমেছি। ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং দোষীদের শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে। নিহতের মরদেহ সিওমেক হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছিল। পরে আত্মীয়দের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright © 2025 বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর. All rights reserved.