
দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চারটি প্রকল্পে প্রায় ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত চার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন করে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছে ঢাকার একটি আদালত।
আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় আদালত নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি, দুদক পৃথক চারটি মামলা করে। মামলাগুলোতে মোট ১৯ জনকে আসামি করা হয়। মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাডার স্থাপন প্রকল্পে প্রায় ২০০ কোটি টাকা, একই বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল সম্প্রসারণ প্রকল্পে ২৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
এছাড়া, সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্প থেকে ২১২ কোটি টাকা এবং কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল নির্মাণ ও রানওয়ে উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই চার মামলায় তারিক সিদ্দিক ছাড়াও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বর্তমান চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।
দুদকের দায়ের করা মামলাগুলোর অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রকল্প অনুমোদনের প্রক্রিয়া, দরপত্র মূল্যায়ন ও চূড়ান্ত বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম, মিথ্যা মূল্যায়ন প্রতিবেদন এবং অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপব্যবহার ও আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এতে সরকারি অর্থের অপচয়ের পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের জড়িত থাকার বিষয়টি গুরুতরভাবে বিবেচনায় নিচ্ছে সংস্থাটি।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তদন্ত প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং যথাসময়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।
এদিকে, মামলাগুলো ঘিরে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি উঠেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright © 2025 বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর. All rights reserved.