মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন বিশেষ প্রতিনিধি:
গত তিনমাসে এই সড়কে ৫৪টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ৪০ জন নিহত এবং ৭৩ জন আহত হয়েছেন। সর্বশেষ ঈদুল ফিতরের প্রথম তিনদিনে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন এই মহাসড়কে। আহত হয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি। আজ বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
এর আগে মানববন্ধনে বক্তারা আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করার ঘোষণা দেন। এসময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।মানববন্ধনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক পর্যটন নগরী কক্সবাজার এবং পার্বত্য জেলা বান্দরবান যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম। এই সড়ক ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য রসদ নেওয়া হয়। একটি সরু সড়কে এতো চাপের কারণে প্রায় সময় দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগ সরকার টানেলের মতো অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি প্রশস্ত করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমরা অতিদ্রুত সড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করার দাবি জানাচ্ছি।মানববন্ধনে সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও লোহাগাড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির কারণে সড়কের কালো বিটুমিন রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে। একেকটি দুর্ঘটনায় কয়েকটি পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। প্রতিটি দুর্ঘটনার পর আমাদেরকে আশ্বাস দেওয়া হয় সড়কটি প্রশস্ত করার।
কিন্তু দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এবার ভয়াবহ দুই দুর্ঘটনায় ১৭ জনের প্রাণহানির পর চুনতির জাঙ্গালিয়ায় সড়কের ওপর স্পিডব্রেকার এবং দুই ইট বসিয়ে দায় সারছে কর্তৃপক্ষ। আমরা লোক দেখানো এমন কাজ আর দেখতে চাই না। বাস্তবিক অর্থে সড়কটিকে ছয় লেন দেখতে চাই।
এজন্য কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা না করে দ্রুত কাজ দেখতে চাই।দোহাজারি হাইওয়ে পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত তিন মাসে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ৫৪টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ৪০ জন নিহত এবং ৭৩ জন আহত হয়েছেন। বিশেষ করে চট্টগ্রাম অংশে ৩৭টি দুর্ঘটনায় ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright © 2025 বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর. All rights reserved.