মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন বিশেষ প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে ব্যবসার উদ্দেশ্যে ৮ হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলন করেছিল একটি চক্র। তবে উত্তোলিত সেই বালু আর নিয়ে যেতে পারেনি তারা। উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে ওই বালু জব্দ করা হয়। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে জব্দকৃত বালু পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী চোরখোলা এলাকার বনে মিশিয়ে দিয়েছে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ। উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহিনুর রহমানের নেতৃত্বে জব্দকৃত বালু বনে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে।
বনবিভাগ সূত্র জানা যায়, গত ১৫ জানুয়ারি পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী চোরাখোলা এলাকায় উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ৮ হাজার ঘনফুট বালি জব্দ করা হয়৷ শনিবার সেই বালি লবণ মিশিয়ে বনে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।অভিযানে উপস্থিত ছিলেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী, থাইংখালী বিট কর্মকর্তা বিলাশ দাশ, দৌছড়ি বিট কর্মকর্তা এমদাদুল হাসান রনি সহ প্রমুখ৷ থাইংখালী বিট কর্মকর্তা বিলাশ দাশ জানান, উখিয়া রেঞ্জের এই বিটে অবৈধ পাহাড় ও বালু উত্তলনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অভিযান পরিচালনা করায় প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র৷ তারপরও অভিযান বন্ধ করতে পারেনি৷ শনিবার জব্দকৃত বালিগুলোতে লবণ মিশিয়ে মাটিতে বিলিয়ে দিয়ে আসছি৷এবিষয়ে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান জানান, অবৈধ বালু উত্তোলনকারী ও পাহাড় খেকোর বিরুদ্ধে বনবিভাগ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে৷ তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার চোরখোলা এলাকায় জব্দকৃত বালুগুলোতে লবণ মিশিয়ে বনে বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ এসব কাজের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, আগে একটি সিন্ডিকেট পাহাড় এবং বালু নিয়ন্ত্রণ করতেন।
বর্তমানে আরেকটি পক্ষ নিয়ন্ত্রণ করছেন পাহাড় কাটা এবং বালু উত্তোলন। এসব বালু ও পাহাড় খেকোর বিরুদ্ধে বনবিভাগ নিয়মিত অভিযান ও মামলা দিয়েও বন্ধ করতে পারছেন না৷ এসব অবৈধ বালু উত্তোলন ও পাহাড় কাটা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে না পারলে বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়তে হবে এই উপজেলার মানুষের।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright By MOHAMMAD ASIF