মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন বিশেষ প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম- নগরীতে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে, শীতকালীন সবজির সঙ্গে কেজিতে ১০ টাকা কমছে ব্রয়লার মুরগির দাম। তবে বাজারে বেড়েছে আলুর দাম, মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজউদ্দিন , কর্ণফুলী মার্কেট, মোগলতলী বাজার, বদ্দারহাট, বাজারসহ অন্য বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম নগরীর বাজারে শীতের সবজির ফুলকপি ও বাঁধাকপি আসলেও দাম তুলনামূলক বেশি। ছোট আকারের একেকটি কপি ৩০-৪০ টাকা পিস, ছোট আকারের লাউ ৪০-৫০ টাকার মধ্যে, মাঝারি আকারের লাউয়ের দাম ছিল প্রতিপিস ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাণিজ্য রাজধানী চট্টগ্রামের বাজারে প্রতি কেজি ৪০ টাকা বেড়ে কাঁচা মরিচ ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া করলা ৫০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, বেগুন মান ভেদে ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ১৩০ টাকা, শিম ৯০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, দেশি গাজর ১০০ টাকা, চায়না গাজর ১৫০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স, শসা, ঝিঙা, কচুর মুখি, মুলা, ধুন্দল, বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ২৫০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ২০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ২০ টাকা, পালং শাক ২০ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, পুঁই শাক ৫০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। কাওরানবাজারসহ কিছু স্থানে দেখা যায় ডজন প্রতি সাদা ফার্মের ডিম ১৪০ টাকা, লাল ফার্মের ডিম ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা পর্যায়ে পাড়া মহোল্লায় ডজন প্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। এছাড়া হাঁসের ডিম ডজন প্রতি ২২০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ডজন প্রতি ২৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতিকেজি ১০ টাকা কমে ব্রয়লার আকার অনুযায়ী মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা এবং সোনালি মুরগি মান ভেদে ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগি ৫২০ টাকা থেকে ৫৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, ছাগলের মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এছাড়া পেঁয়াজ ১৫০ টাকা ও ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১১০ টাকায় আলু ৬০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা এবং আদা ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে পাঁচ কেজি সয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মসুর ডালের কেজি ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজি প্রতি মোটা চাল ৫৭ টাকা, মিনিকেট ৭৩ টাকা, আটাশ চাল ৬১ টাকা, কাটারি নাজির ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল আমনধানের চাল ৯০ টাকা, সুগন্ধী চিনিগুড়া পোলার চাল ১৩৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের শিং মাছের কেজি (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা,রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ছয় কেজি ওজনের রুই মাছ ৪০০ টাকা, এক কেজি ওজনের রুই মাছ ২৮০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাশ ২১০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৬০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৯০০ টাকা এবং কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কারওরান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে ভারতীয় জিরা কেজি প্রতি প্রায় ৭৮০ টাকা, শাহী জিরা কেজি প্রতি ১৬৬০ টাকা, মিষ্টি জিরা কেজি প্রতি ২৪০ টাকা, পাঁচফোড়ন কেজি প্রতি ২০০ টাকা, রাঁধুনী কেজি প্রতি ৫০০ টাকা, মেথি কেজি প্রতি ১৫০ টাকা, চিনাবাদাম কেজি প্রতি ১৬০ টাকা, কাজু বাদাম কেজি প্রতি এক হাজার ৬০০ টাকা, পেস্তা বাদাম কেজি প্রতি দুই হাজার ৭৫০ টাকা, ত্রিফলা কেজি প্রতি ১৫০ টাকা, জয়ফল কেজি প্রতি ৮০০ টাকা, তেজপাতা কেজি প্রতি ১৮০ টাকা, সাদা গোলমরিচ কেজি প্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা, গোলমরিচ কেজি প্রতি এক হাজার ২০০ টাকা, ধনিয়া কেজি প্রতি ২৫০ টাকা, সরিষা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কিসমিস কেজি প্রতি ৫২০ থেকে ৫৪০ টাকা, এলাচ কেজি প্রতি তিন হাজার ৮০০ টাকা, কালো এলাচ কেজি প্রতি ৩ হাজার টাকা, লবঙ্গ কেজি প্রতি ১ হাজার ৭০০ টাকা, জয়ত্রি কেজি প্রতি দুই হাজার ৯০০ টাকা, পোস্তদানা কেজি প্রতি এক হাজার ৮০০ টাকা, আলুবোখারা কেজি প্রতি ৫৫০ টাকা, দারুচিনি কেজি প্রতি ৫৫০ টাকা, খোলা হলুদের গুঁড়া কেজি প্রতি ৩৭০ টাকা, খোলা মরিচের গুঁড়া কেজি প্রতি ৪৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজার ভেদে মসলার দামের ভিন্নতা রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright By MOHAMMAD ASIF