মোঃ সেলিম উদ্দিন খান জেলা প্রতিনিধি:
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সারা দেশের থানাগুলোতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় থানা থেকে পালিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা।
এখনও পর্যন্ত কাজে ফেরেননি অনেকেই। এরমধ্যে চাকরিও হারিয়েছেন আইজিপিসহ উচ্চপদের অনেক কর্মকর্তাই।
আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫ বছরের শাসনামলে পুলিশে নিয়োগ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার। এ সময় বরাদ্দ বেড়েছে ৪৩৩ শতাংশ।
ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য উচ্চ পর্যায়ের ১৭৮টি নতুন পদ তৈরি হয়। তবে অভিযোগ আছে, জনবল নিয়োগের বড় অংশই দলীয় ও রাজনৈতিক বিবেচনায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাবমুক্ত করতে না পারলে পুলিশের সংস্কার টিকিয়ে রাখা যাবে না।
আর বাহিনীর সাবেকরা বলছেন, ২০০৮ সালের পর পুলিশে সংস্কারের নামে শুধু পদ আর সুযোগ সুবিধাই বাড়ানো হয়েছে। সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, বাহিনীতে নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলির ক্ষেত্রে কোন নীতিমালা নেই।
রাজনৈতিক পরিচয় ও এলাকা—এই দুই বিবেচনায় চলে পোস্টিং। রাজনৈতিক সরকারের অধীনে স্বাধীনভাবে কাজ না করায় পেশাদার বাহিনী হিসেবে সুনাম হারাচ্ছে পুলিশ।
সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর কে বলেন, ‘এই যে এত কিছুর পর আমরা এখন সংস্কারের কথা বলছি।
দেশ স্বাধীন হলো ৫৩ বছর, আমরা পুলিশের একই রকমের কার্যক্রম দেখে আসছি। কোনো পরিবর্তন নেই। যখন যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা পুলিশকে ব্যবহার করেছে।
আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড এগুলো কিন্তু করা হয়েছে। এগুলোর দায় সকলকে নিতে হবে।’
বাহিনীকে সংস্কারে, স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের পাশাপাশি পুলিশ অভিযোগ কমিশন করার তাগিদ দিচ্ছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘২০০৭ সালের যে খসড়া আছে, আমরা মনে করি সেটিকে যুগোপযোগী করে ঢেলে সাজাতে হবে।
এই সরকারের সময়ই আইনটির সংস্কার সম্পন্ন করা উচিত। নির্বাচনের পর সংসদে সেই আইনটিকে পাশ করা হবে এই নিশ্চয়তা দেওয়া উচিত।’
ডিএমপির অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পদ এবং রেঞ্জ ডিআইজি, এসপি, ওসি পদে ১৫ বছরে ঘুরেফিরে নির্দিষ্ট জেলার কিছু কর্মকর্তারই পদায়ন হয়েছে। বঞ্চিত হয়েছেন সৎ-পেশাদার অফিসাররা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright By MOHAMMAD ASIF