মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক নিউজঃ
হলুদ সাংবাদিকতা শব্দটি, সংবাদ জগতের এক নেতিবাচক দিককেই আমাদের সামনে তুলে ধরে। সাংবাদিকতার মতো মহৎ পেশার জন্য হলুদ সাংবাদিকতা এক ধরনের অপবাদ, নিকৃষ্টতা ও লজ্জার বহিঃপ্রকাশ। মহৎ এই পেশার অন্তরালে কিছু সাংবাদিক জড়িয়ে পরেছে অপরাধ জগতে। তেমনি একজন সাংবাদিক এম. এ কাউসার।
একের পর এক মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন কোশলে টাকা হাতিয়ে আসছে এম.এ কাউসার। ষড়যন্ত্র করে নিরহ মানুষদের কে মিথ্যা মামলায় ও ফাসিয়ে থাকেন টাকার বিনিময়। ২০১৫ সালে এমন ও ঘটনা পাওয়া যায় যে টাকার বিনিময় নিজের বন্ধু কে চেক এর মামলায় ফাসিয়ে দেয়া হয়।চেক লেনদেন এর টাকা সঠিক হলেও টাকা পরিশোধ থাকা পরেও প্রতারণা করে থানায় জিডি করে থাকেন। এই ভাবে নানা মানুষদের ফাসিয়ে আসছেন।
তিনি ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার রিপোর্টার। চট্টগ্রাম উত্তর হালিশহর এ-ব্লকে বসবাসকারী এই ব্যক্তি দীর্ঘ দিন সাংবাদিকতা পেশার অন্তরালে করে যাচ্ছেন একের পর এক অপরাধ। মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের ভয় দেখিয়ে নিরপরাধ মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায়, ভূমি দখল, বিভন্নস্থানে অবৈধ জুয়ার বোর্ড বসিয়ে অর্থ উপার্জন, সরকারী অবরাদ্ধ জায়গা জোড়পূর্বক দখলে নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট বিক্রি করা উনার পেশা।
জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে হালিশহর বি-ব্লকের জামিলুর রহমান প্রকাশ গরু জামাল নামে এক ব্যক্তি ও সাংবাদিক কাউসারের ভাই মিজান সহ ৩ জন একত্রে এই সমস্ত বিভিন্ন অসামজিক ও অবৈধ কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কাউসার, গরু জামাল ও মিজান বিএনপি-জামায়াত রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
সম্প্রতি বি-ব্লক নতুন সাইটে অবস্থিত হাউজিংয়ের একটি অবরাদ্ধকৃত প্লটকে কেন্দ্র করে বেরিয়ে আসে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। সরজমিন তদন্তে জানা যায়, বি-ব্লক নতুন সাইট ৫ নং রোডের লেইন নং ২ প্লট ৫-এ রমজানের শুরু থেকে প্রকাশ্যে খোলা একটি খাবারের হোটেল বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে বেরিয়ে আসে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানাযায়, পরিত্যাক্ত প্লটিতে দিনের বেলায় চলে হোটেল এবং রাতে বসে জুয়ার আসর সহ মাদক সেবীদের আড্ডা। এতে প্রতিবাদী এলাকাবাসী একজোট হয়ে হোটেলটি বন্ধ করে দেয় এবং পরিত্যাক্ত প্লটটিতে একটি স্থায়ী মসজিদ নির্মানের জন্য জোড় দাবী তোলেন।
এতে পরিত্যাক্ত প্লটটি দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে রাখা জামিলুর রহমান, মিজান ও সাংবাদিক এম.এ কাউসার ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এঅবস্থায় কাউসার বর্তমান ১১, ২৫ ও ২৬ নং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হুরে আরা বেগম বিউটি-কে ফোন করে রমজানে দিনের বেলায় হোটেলটি খোলা রাখতে সহযোগীতা চান।
কিন্তু কাউন্সিলর মহোদয় কাউসারের প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে দেন। এতে সে কাউন্সিলর মহোদয়ের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং জাতীয় পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল ও ফেসবুকে হুরে আরা বিউটি ও তার ভাই স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সোহেলকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করে।
এই অপপ্রচারের প্রতিবাদে এলাকাবাসী রোববার (৩১ মার্চ) চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর বি-ব্লকের সর্বোস্তরের জনগন এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিলে রাস্তায় নামে। এসময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, স্থানীয় নারী কাউন্সিলর হুরে আরা বিউটি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোহেল দুজনই বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
একই সাথে তারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের রাজনীতিতে সক্রিয় নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হুরে আরা বিউটি একজন জনপ্রিয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ৷
এলাকার চিহ্নিত জামাত বিএনপির দোসর ভূমিদস্যু জামিলুর রহমান প্রকাশ গরু জামাল, সাংবাদিক এম এ কাউসার ও তার বড় ভাই সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বানোয়াট ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। স্থানীয় বিএনপি’র একজন উপদেষ্টা অর্থের বিনিয়োগ করে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করে স্থায়ী মসজিদ নির্মাণকে ব্যাহত করার চক্রান্ত চালানো হচ্ছে।
বিক্ষোভ মিছিলে সর্বোস্তরের জনগন কথিত যুগান্তর পত্রিকার সাংবাদিক এম এ কাউসার ও তার ভাই মিজান এবং জামিলুর রহমান সহ তিন ভূমি দস্যুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।